একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
তারা মায়ের বিশেষ পুজোর দিনগুলি ছাড়াও প্রতি বছর শীতের মরশুমে তারাপীঠে ভিড় উপচে পড়ে। হোটেলগুলিও ভিড়ে ঠাসা থাকে। প্রাইভেট গাড়ি
বা ট্রেন, আবার কেউ দল বেঁধে বাসে চড়ে এখানে আসছেন। দেবীর কাছে পুজো দিয়ে অনেকেই বনভোজনে মেতে উঠছেন। মন্দিরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দ্বারকার পাড় বাঁধিয়ে পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যটকরা সেখানে রোদ পোহাচ্ছেন। আবার সন্ধ্যা হতেই হরিদ্বারের আদলে দ্বারকার পাড়ে আরতি পর্যটকদের আকর্ষণ কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, স্কুলগুলিতে পরীক্ষা শেষ গিয়েছে। তার উপর শীত মানেই বেড়ানোর মরশুম। বছরের শুরুতে অনেকেই চান ধর্মীয় স্থানে পুজো দিতে। সেক্ষেত্রে অনেকেই বেছে নেন এই তীর্থক্ষেত্র। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে ভোর থেকেই ভক্তদের লম্বা লাইন পড়ছে।
লজ ব্যবসায়ী নিতাই মাল বলেন, দীঘার পর অনেকেই এখন ডেস্টিনেশন হিসেবে তারাপীঠকে বেছে নিচ্ছেন। এখন প্রতিদিনই অধিকাংশ হোটেলের রুম বুক থাকছে। অনেকে এই সময়ে তারাপীঠে পুজো দেওয়ার পর নিতাইয়ের জন্মভিটে বীরচন্দ্রপুরের একচক্রাধাম, নলাটেশ্বরী ও মুলুটি মায়ের দর্শন করতে যাচ্ছেন। ওই সমস্ত জায়গায় থাকার ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই তারাপীঠে ফিরে আসছেন। ফলে হোটেল ব্যবসায়ীদের সত্যিই পৌষমাস। ব্যবসায়ীরা বলেন, আগামী কয়েকদিনও ভিড় থাকবে। তবে তারাপীঠের ভিতরে ডবল লেনের রাস্তা ও দ্বারকা নদের উপর চওড়া ব্রিজ হওয়া সত্ত্বেও অবৈধ পার্কিং ও যত্রতত্র টোটো দাঁড়ানোয় যানজটের সমস্যা রয়েই গিয়েছে।
কলকাতার বাগুইআটি থেকে সপরিবারে আসা শতদল বন্দ্যোপাধ্যায়, মিহির পালরা বলেন, শীতের মরশুমে বাড়িতে থাকতে ভালো লাগে না। তাই প্রতিবছর এইসময় তারাপীঠ চলে আসি। ২৫ডিসেম্বর বা বছরের প্রথমদিন এত ভিড় হয় যে ভালোভাবে দেবীর দর্শন বা আশপাশের ধর্মীয় স্থানগুলি ঘোরা যায় না। সেকারণে এখন এসেছি। তাঁরা বলেন, তারাপীঠের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তাঘাট, মন্দির চত্বরের ঘিঞ্জি পরিবেশ আর নেই। আর এক পর্যটক বলেন, দু’দিনের ছুটিতে সপরিবারে তারাপীঠ এসেছি। বক্রেশ্বর ঘুরে শান্তিনিকেতন হয়ে কলকাতা ফিরব।
এদিকে পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ায় তারাপীঠ মন্দির সহ এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করা হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, তীর্থভূমি জুড়ে লাগানো সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানোর পাশাপাশি টহলদারি বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে কোনও কিছু খাওয়া বা দাবিহীন ব্যাগ পড়ে থাকলে পুলিসকে খবর দেওয়ার বিষয়ে ঘনঘন মাইকিং চলছে। মন্দির কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভক্তদের ভিড়ে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মন্দিরের
নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী ছাড়াও পুলিসের সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে। -নিজস্ব চিত্র