বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
তারা মায়ের বিশেষ পুজোর দিনগুলি ছাড়াও ১ জানুয়ারি এখানে উপচে পড়ে ভিড়। সোমবার থেকেই সেই ভিড় জমতে শুরু করে। বুধবার সকাল থেকে সেই ভিড় কয়েকগুণ বেড়ে যায়। রাস্তায় শুধু কালো মাথা আর দূরদূরান্ত থেকে আসা যানবাহনের ভিড়। ভক্তদের সুবিধার্থে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছিল, যাতে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা না ঘটে। বিকলাঙ্গদের জন্য বিশেষ লাইন করা হয়েছিল। যদিও পর্যটকদের একাংশের অভিযোগ, অনেকেই চটজলদি পুজো দেওয়ার জন্য ৫০০ টাকা দিয়ে কুপন কেটে বিশেষ লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন। পর্যটকের একটা বিরাট অংশ আসেন বিহার এবং ঝাড়খণ্ড থেকে। তাঁরা এদিন ব্যবসার নতুন খাতা মা তারার চরণে ছুঁইয়ে পুজো দেন। বিহার থেকে আগত ব্যবসায়ী অবিনাশ কুমার বলেন, পরিবারের মঙ্গল ও ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি কামনায় প্রতিবছর এই দিনটিতে মায়ের চরণে পুজো নিবেদন করি।
মন্দির কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভোর থেকেই হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটেছে। বেলা যত বেড়েছে, ভক্তদের ভিড়ও বেড়েছে। তবে কোনও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেনি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ‘জয় তারা’ ধ্বনিতে মুখরিত থেকেছে মন্দির চত্বর।
এদিকে ১ পৌষ থেকে গর্ভগৃহে দেবী বিগ্রহের ছবি তোলা নিষিদ্ধ করেছে মন্দির কমিটি। এতদিন সেবাইতদের একাংশ ভিডিও কলের মাধ্যমে দূরদূরান্তের ভক্তদের দেবী দর্শনের সুযোগ করে দিয়েছেন। মোবাইল নিষিদ্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েন সেবাইতরা। অগত্যা মন্দির কমিটির অফিসে এলসিডিতে চলা গর্ভগৃহের লাইভ টেলিকাস্ট থেকে মোবাইলে ভিডিও কল করে সেইসব ভক্তদের দর্শন করার তাঁরা। মন্দিরের সেবাইত গোলক মহারাজ বলেন, মন্দিরের গর্ভগৃহে ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অনেকে এই দিনে আসতে পারেননি। সেইসব ভক্তদের সেবাইতরা মোবাইলের মাধ্যমে এলসিডি থেকে ভিডিও কল করে দেবীকে দর্শন করাচ্ছেন।
অন্যদিকে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনায় মন্দিরে পুজো দিলেন তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুনীল গিরি বলেন, অন্যান্য বছর ১ জানুয়ারি পৌষমেলা থাকে। এবার পৌষমেলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে অনেকে ডেস্টিনেশন পরিবর্তন করে তারাপীঠকে বেছে নিয়েছেন।
অনেকে তারাপীঠে পুজো দেওয়ার পর নিতাইয়ের জন্মভিটে বীরচন্দ্রপুরের একচক্রাধাম, নলাটেশ্বরী ও মুলুটি মায়ের দর্শন করে ফিরে আসছেন। ফলে এই সমস্ত দর্শনীয় স্থানেও অন্যান্য দিনের তুলনায় ভিড় যথেষ্ট হয়েছে।