বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমানের জেলার সব্জি ভাণ্ডার বলা হয় পূর্বস্থলী-২ ব্লককে। বিঘার পর বিঘা জমিতে সারাবছরই সব্জি চাষ করে থাকেন চাষিরা। এলাকায় পাঁচটি বড় পাইকারি সব্জির আড়ত আছে। এরমধ্যে সব থেকে বড় পাইকারি বাজারটি হল কাঁলেখাতলায়। এছাড়া পারুলিয়া, ফলেয়া, জামালপুর মোড়, বিশ্বরম্ভাতেও পাইকারি সব্জি বাজার আছে। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার সব্জি বিক্রি হয় এখানকার বাজারগুলি থেকে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার সব্জি ব্যবসায়ীরা পূর্বস্থলীর আড়ত থেকে সব্জি সংগ্রহ করে থাকেন।
এদিন পাইকারি দরে ফুলকপি এক থেকে দেড় টাকা, বাঁধাকপি তিন টাকা ছিল। এছাড়া বেগুন ১০ থেকে ১২ টাকা, গাজর ১২-১৪ টাকা, কাঁচালঙ্কা ৩০-৩৫ টাকা, টোম্যাটো ১৫ টাকা প্রতি কেজিতে দাম ছিল। পারুলিয়ার আড়তদার তপনকুমার সাহা বলেন, এবার আমদানি ভালো হওয়ায় সব্জির দাম কমেছে। তবে ক্রেতারা আসছেন না। শিয়ালদহ, হাওড়া, বিহার, ঝাড়খণ্ড ও অসম থেকে ক্রেতারা প্রতিদিন সব্জি নিতে আসেন। কয়েকদিন ধরে তাঁরাও আসছেন না। দাম কমে যাওয়ায় চাষিরাও হতাশ হচ্ছেন।
সরকার সব্জির দাম বেড়ে গেলে ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু কমে গেলে তার কোনও ব্যবস্থা নেয় না। আর এক আড়তদার মদন সাহা বলেন, কেন সব্জির দাম এক ঝটকায় কমে গেল বুঝতে পারছি না। ক্রেতারা কেন আসছেন না সেটাও বুঝতে পারছি না। আর এক আড়তদার বলছেন, পাইকারি দাম কম হলেও খুচরো বাজারে দাম কমছে না। একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা এটা করছেন। এরজন্য প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। এবার চাষেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল। বৃষ্টিতে দফারফা হয়েছিল ফুলকপি গাছ। ফুল সব পচে গিয়েছিল। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছিল বহু চাষিকে। ঋণ নিয়ে অনেকে চাষ করেছিলেন। চাষের খরচ না ওঠায় চিন্তায় পড়ছেন বহু চাষি। চাষি আনসার শেখ বলেন, আমি ১৪ কাঠা জমিতে বেগুন চাষ করেছি। এবার দাম না পাওয়ায় আদৌ চাষের খরচ উঠবে কি না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছি।-নিজস্ব চিত্র