বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
এসিপি পিন্টু সাহা বলেন, অভিযুক্ত সাগর মাদকাসক্ত। মাদক কারবারের জন্যও এই টাকা শিল্পাঞ্চলে আনার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে সে বের হয়নি। বিভিন্ন থানাকে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি এই এলাকায় কোথাও মোটা অঙ্কের টাকা ছিনতাই হয়েছে কি না, তা জানাতে।
নলহাটির বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপির পরাজিত প্রার্থী তাপস কুমার যাদবের একের পর এক কুকীর্তি প্রকাশ্যে আসছে। নলহাটিবাসীর কাছে সাগর হল ধনী বাবার বখাটে ছেলে। পানাগড়ে নামী ইংরেজি মাধ্যম বোর্ডিং স্কুলে ছেলেকে উচ্চশিক্ষিত করার জন্য ভর্তি করেছিল পরিবার। তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি, ২৫ বছরের যুবক এখন মস্তান। পুলিস জেনেছে, সে শুধু মস্তান নয়, মাদকাসক্তও। সকলেরই জানা, শিল্পাঞ্চলে দেশে নানা প্রান্ত থেকে দামি মাদক ঢোকে। আসানসোল, দুর্গাপুরের ধনী বাড়ির বেয়াদব ছেলেমেয়েরা তা সেবন করে। তেমনি কোনও মাদক কারবারের ডিল করতেই কী সাগর এসেছিল! পুলিসের সূত্র সেই ইঙ্গিতই করছে।
অন্যদিকে ছেলের এই কুকীর্তি থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছেন বিজেপি নেতার পরিবার। তাপসবাবু মঙ্গলবারই ‘বর্তমান’কে ফোনে জানিয়েছিলেন, তিনি অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন। ছেলের বিষয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই। পুলিসের কাছে একই কথা আওড়েছেন তাঁর স্ত্রীও। পুলিসের দাবি, নলহাটি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি করা হয়। যদিও সেখান থেকে হিসাব বহির্ভূত কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি। ব্যবসায়ীর স্ত্রী জানিয়েছে, স্বামী অসুস্থ তাই ব্যবসায়ীক লেনদেন বন্ধ। বাড়িতে কোনও টাকাই রাখা ছিল না।
প্রশ্ন, বেকার যুবক সাগরের কাছে ২০ লক্ষ টাকা এল কীভাবে? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন অণ্ডাল থানার পুলিসের কাছে। পুলিসের সন্দেহ, নিজের বন্ধু সাগরেদদের সঙ্গে নিয়ে খুব সম্ভবত কোনও ছিনতাই বা লুট করেই এই ২০ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেছিল সে।
উল্লেখ্য, রবিবার অণ্ডাল বিমানবন্দরে একটি দামি গাড়ি থেকে ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। সেখানে হাতুড়ি, শাবল সহ নানা ধারালো অস্ত্র, দড়ি পাওয়া গিয়েছিল। পুলিস গাড়িতে থাকা চারজনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও দু’জন পালিয়ে যায়।