উচ্চ শিক্ষা ও ব্যবসায় শুভ ফল প্রাপ্তির যোগ। ... বিশদ
পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, সাইবার অপরাধীরা সময় অনুযায়ী কৌশল বদল করে। কখন কী বললে মানুষ বিশ্বাস করবে সেটা তারা ভালোই জানে। আবাস যোজনা প্রকল্পকে হাতিয়ার করেও তারা অ্যাকাউন্ট সাফ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কেউ যাদে তাদের পাতা ফাঁদে পা না দেয়, সেই কারণে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালাচ্ছি।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বর মাসের মধ্যে রাজ্য সরকার আবাস যোজনা প্রকল্পে প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই মতো উপভোক্তাদের তালিকা যাচাই করতে বলা হয়েছে। তালিকায় নাম থাকা অনেকেই পাকাবাড়ি তৈরি করে নিয়েছেন। তাঁদের নাম তালিকা থেকে বাদ যাবে। এক আধিকারিক বলেন, টাকার বিনিময়ে কোনও প্রভাবশালী তালিকায় নাম তুলতে পারবে না। অনেকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে টাকা হাতানোর চেষ্টা করে। তাদের ফাঁদে পা না দেওয়াই ভালো। কেউ বাড়ি পাওয়ার উপযুক্ত হলে এমনিতেই পাবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বহুদিন ধরেই এই প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধি দল প্রতিটি জেলায় একাধিকবার পরিদর্শন করে গিয়েছেন। তারা কোনও অনিয়ম পায়নি। তারপরও টাকা আটকে রেখেছে। রাজ্য সরকার আবাস যোজনা প্রকল্পে টাকা দিচ্ছে। তবে এরজন্য অর্থ দেওয়ার দরকার হবে না। কেউ টাকা চাইলে উপভোক্তারা সরাসরি থানায় যোগাযোগ করবেন। তাছাড়া এই প্রকল্পে টাকা দেওয়ার জন্য ফোনে কখনও কারও অ্যাকাউন্ট নম্বর চাওয়া হবে না। প্রতারকরা মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে টাকা হাতানোর চেষ্টা করছে। তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।
পুলিস সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সাইবার অপরাধীরা অনেকের কাছেই অ্যাকাউন্ট নম্বর চেয়েছে। কয়েকজন প্রতরণার শিকার হয়েছে। তারপরই পুলিস এবিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুলিস সুপার বলেন, কেউ প্রতারিত হলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় যাগাযোগ করতে পারেন। পুলিস প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।