মাতুলের থেকে বিত্তলাভ হতে পারে। কোনও বিষয়ের মানসিক উদ্বেগ কমবে। বিদ্যাচর্চায় বিশেষ শুভ। ... বিশদ
দীঘা মোহনার অদূরে ১৮হেক্টর জায়গার উপর শঙ্করপুর মৎস্যবন্দর রয়েছে। বর্তমানে কাঁথির উপকূলে যে ক’টি মৎস্যবন্দর রয়েছে, তার মধ্যে শঙ্করপুরই সবচেয়ে পুরনো। এই বন্দর থেকে নথিভুক্ত তিনশোর কাছাকাছি ট্রলার-লঞ্চ সমুদ্রে যাত্রা করে। বন্দরে দু’টি জেটি সহ অন্যান্য পরিকাঠামো রয়েছে। এই মৎস্যবন্দরের উপর কয়েক হাজার মৎস্যজীবী সহ বহু মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। বন্দরে বরফকলের অপারেটর হিসেবে এবং বরফ লোডিং-আনলোডিংয়ের কাজে অনেকেই যুক্ত রয়েছেন। মাছ ধরার মরশুমে গমগম করে বন্দর এলাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্দরের চারটি বরফকল রয়েছে। তবে বরফকলগুলি পুরনো। সেগুলির পরিকাঠামো ঢেলে সাজা হচ্ছে। একটি নতুন বরফকল তৈরি করা হচ্ছে। বন্দরের রাস্তাঘাট অনেকদিন সংস্কার না হওয়ায় বেহাল হয়ে গিয়েছে। সেগুলি সংস্কার করা হচ্ছে। পুরনো, নষ্ট পথবাতি সরিয়ে নতুন লাগানো হচ্ছে। বন্দরে পানীয় জলের ব্যবস্থা মান্ধাতার আমলের। পাইপলাইন ও ট্যাঙ্ক পুরনো। মাঝেমধ্যেই পানীয় জলের সমস্যা দেখা দেয়। সেই পরিকাঠামোও নতুনভাবে তৈরির কাজ চলছে। বন্দরের স্টাফ কোয়ার্টারও নতুনভাবে তৈরি হচ্ছে।
দু’টি জেটি থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। ট্রলার-লঞ্চ নোঙর করা কিংবা মাছ লোডিং-আনলোডিং সহ নানা সমস্যা হয়। আগামী দিনে জেটির সংখ্যা বাড়ানো হবে। বন্দরে বন্ধ পেট্রল পাম্পও পুনরায় চালু করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বন্দরের স্পেশাল অফিসার অরিন্দম পাত্র বলেন, আমরা শঙ্করপুর মৎস্যবন্দরকে ড্রেজিং সহ নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছি। এক এক করে সমস্ত পরিকাঠামোই তৈরি হবে। শঙ্করপুর ফিশারমেন অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক, প্রাক্তন বিধায়ক স্বদেশরঞ্জন নায়ক বলেন, আমরা বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নের দাবি অনেকদিন ধরেই জানিয়ে আসছি। কাজ চলছে। ড্রেজিংয়েরও কাজ হবে বলে শুনেছি। সমস্ত কাজ হলে খুবই ভালো হবে। মৎস্যজীবী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, সকলেই উপকৃত হবেন। একই বক্তব্য বন্দরের তৃণমূল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা দীনেশ নায়কের।-নিজস্ব চিত্র