মাতুলের থেকে বিত্তলাভ হতে পারে। কোনও বিষয়ের মানসিক উদ্বেগ কমবে। বিদ্যাচর্চায় বিশেষ শুভ। ... বিশদ
রামপুরহাট শহরে বহু অবৈধভাবে বহুতল গড়ে উঠেছে। সেক্ষেত্রে পুরসভা ও টিআরডিএর নজরদারির অভাবকেই দায়ী করেছেন আমজনতা। সাধারণ মানুষ অভিযোগ জানানোর পরেও গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এবার শহর লাগোয়া গ্রামীণ এলাকা বিশেষ করে দখলবাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গড়ে উঠছে একের পর এক বহুতল। অভিযোগ, নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই অবাধে চলছে নির্মাণকাজ। কোথাও বহুতলের গা ঘেঁষে গড়ে উঠছে আরএক বহুতল। কোথাও আবার মানুষের চলাচলের সরকারি ঢালাই রাস্তার নীচের মাটি কেটে এবং তা ঘেঁষে বহুতল নির্মাণ করা হচ্ছে। নিয়মানুযায়ী, চারিদিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা ছাড়তে হয়। কিন্তু তা মানা হয়নি। এভাবে পরপর বহুতল তৈরি হওয়ায় ওই এলাকাগুলিতে পানীয় জল, নিকাশির মতো পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা বলেন, শাসক দলের একাংশ এই অবৈধ বহুতল নির্মাণে যুক্ত থাকায় ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। ওই এলাকা টিআরডির অন্তর্ভুক্ত। পঞ্চায়েতে তো দূর, টিআরডিএও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে মুড়ি-মুড়কির মতো যেখানে সেখানে গড়ে উঠছে পাঁচ-ছ’তলা ফ্ল্যাট। রামপুরহাট শহর লাগোয়া দখলবাটি অঞ্চলের ক্যানেল পাড়ের রাস্তার সামনে এমনই কয়েকটি আবাসন গড়ে উঠছে। অভিযোগ, এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রভাবশালীরা যুক্ত। সরকারি রাস্তা ঘেঁষে চলছে নির্মাণকাজ। চারদিকে ছাড়া হয়নি নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা। জাতীয় সড়কে যানজট নিত্যদিনের সমস্যা। বহু মানুষ ক্যানেল পাড়ের সংকীর্ণ রাস্তা ব্যবহার করে শহরে আসেন। অবৈধ বহুতলের ফলে সেই রাস্তা আরও সংকীর্ণ হয়ে পড়ছে। অদূর ভবিষ্যতে যার ফল ভোগ করতে হবে নতুন প্রজন্মকে। এলাকার বাসিন্দারা বলেন, এই অবৈধ নির্মাণের অনুমতি কারা দিচ্ছে? প্রশাসনের নজরদারি না থাকার পিছনে অন্য গন্ধ পাচ্ছেন তাঁরা।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল বলেন, নিয়মনীতির বালাই না করে জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে মুড়ি মুড়কির মতো বহুতল হচ্ছে। যাদের দেখার দায়, সেই পঞ্চায়েত, প্রশাসন ও টিআরডিএ চুপ। আসলে টাকা দিয়ে যদি চোখ বন্ধ করে দেয়, তাহলে অবৈধ কাজ দেখবে কীভাবে।
এব্যাপারে দখলবাটি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সার্বিনা বিবি বলেন, বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত থেকে শুধু এনওসি দেওয়া হয়। চূড়ান্ত অনুমতি দেয় ব্লক প্রশাসন বা টিআরডিএ। এক্ষেত্রে কী হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। টিআরডিএর চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এর আগেও বেআইনি নির্মাণ নিয়ে টিআরডিএর সিইও তথা রামপুরহাট মহকুমা শাসকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অনুমতি ছাড়া বহুতল নির্মাণের বেশকিছু অভিযোগ এসেছে। সেক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে কার অনুমতি নেওয়া হয়েছে জানা নেই। দ্রুত অবৈধ নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। এভাবেই রাস্তার একাংশ দখল করে তৈরি হয়েছে বহুতল।