মাতুলের থেকে বিত্তলাভ হতে পারে। কোনও বিষয়ের মানসিক উদ্বেগ কমবে। বিদ্যাচর্চায় বিশেষ শুভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, প্রায় মাস ছয়েক আগে দফরপুরে জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল ও ব্যাপক বোমাবাজি হয়। একপক্ষের ছোড়া বোমার আঘাতে গৃহবধূ সাধা মণ্ডলের মৃত্যু হয়। তারপরই অভিযুক্তরা গ্রাম ছেড়ে মির্জাপুরে ভাড়াবাড়িতে থাকছিল। মায়ের মৃত্যুর বদলা নিতেই তাঁর ছেলে বচ্চন মণ্ডল পুলিসের ছদ্মবেশে অভিযুক্ত দু’জনকে তুলে এনে মারধর করে বলে অভিযোগ।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওইদিন গভীর রাতে বচ্চন পুলিসের ছদ্মবেশে দলবল নিয়ে মির্জাপুরে একটি বাড়িতে যায়। রঘুনাথগঞ্জ থানা থেকে আসছি বলে পরিচয় দেয় তারা। বাড়িতে ঢুকে সাধা মণ্ডল খুনে অভিযুক্ত গুরুপদ ও তার ছেলে মধুকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায়। চার চাকা গাড়িতে করে তাদের মির্জাপুর পেট্রল পাম্প সংলগ্ন একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের লোহার রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে প্রৌঢ়ের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। প্রৌঢ়ের চোখেও আঘাত করা হয়। লোহার রড দিয়ে মেরে তার ছেলের পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সারা শরীরে রড দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। বেধড়ক মারধরের পর সেখান থেকে তাদের দফরপুরে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে গুরুপদকে ছাদ থেকে নীচে ফেলে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। তারপর পুলিসের ছদ্মবেশধারীরাই থানায় খবর দেয়। স্থানীয় লোকজন জখমদের উদ্ধার করে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে।
জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের বেডে শুয়ে মধু মণ্ডল বলে, জমি নিয়ে গন্ডগোল হয়। পরে আমাকেও আসামি করে। ভয়ে আমরা এলাকা ছেড়ে মির্জাপুরে পালিয়ে যাই। রাতে ওরা পুলিস পরিচয় দিয়ে ঘরে ঢোকে। তারপরই মারধর শুরু করে। বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমার সারা শরীরে রড দিয়ে মারে। ওদের শাস্তি দিক পুলিস।
রানিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা সেবিনা বিবি বলেন, বিষয়টি সকালে জেনেছি। পুলিস পরিচয় দিয়ে দু’জনকে তুলে নিয়ে এসে মারধর করা হয়েছে। পুলিস তদন্ত করে দেখছে।