মাতুলের থেকে বিত্তলাভ হতে পারে। কোনও বিষয়ের মানসিক উদ্বেগ কমবে। বিদ্যাচর্চায় বিশেষ শুভ। ... বিশদ
আদি বিজেপি নেতা প্রশান্ত আইচ বলেন, আমরা বিনা স্বার্থে দল করি। সংগঠনের ভালো করার জন্য কাজ করি। কিন্তু সিপিএম থেকে আসা কিছু লোকজন দলের সর্বনাশ করছে। তারা পার্টি অফিসের ভিতর মদের আসর বসাচ্ছে। কোনও নিয়ম মানছে না। প্রতিবাদ করায় আমাদের মারধর করা হয়েছে। ওই নেতাদের জন্যই লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হয়েছে। ওদের মুখ দেখলেই লোকে আর ভোট দেবে না। নিজেদের আখের গোছানোর জন্যই দলে এসেছে। আমাদের দলে শৃঙ্খলাই বড় কথা। সেটাই তারা মানে না। পার্টি অফিসে কোনওমতে মদের আসর বসাতে দেব না। প্রয়োজনে তারজন্য আবার লড়াই করব।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় আদি এবং নব্যদের দ্বন্দ্ব এই প্রথম নয়। এর আগেও তারা বহুবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে। পার্টি অফিস ভাঙচুরও হয়েছে। রাজ্য নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। দলের এক নেতা বলেন, কয়েকজনের জন্য সংগঠন দুরমুশ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের বেশিরভাগই বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে এসেছেন। কেউ স্টেশন চত্বর নিজের দখলে রাখার জন্য দলে যোগ দিয়েছিলেন। কেউ আবার শহরে প্রভাব বিস্তার করার জন্য দলের ঝান্ডা ধরেন। তাতে দলের লাভ হয়নি। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁদের চালচলন বদলে গিয়েছিল। দল জিতছে বলে তাঁরা ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু ফল খারাপ হওয়ায় তারা নিজেদের এলাকায় ঢোকার সাহস পাচ্ছেন না। তাঁরা অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরের পর থেকেই দুই গোষ্ঠীর টানাপোড়েন শুরু হয়। রাতে তা চরম আকার নেয়। পার্টি অফিসের বাইরে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী না এলে আরও বড় ধরনের ঘটনা হতে পারত বলে দলের কর্মীদের দাবি। বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, পার্টি অফিসে কিছু হয়নি। পার্টি অফিসের বাইরে কিছু হয়েছে কি না বলতে পারব না। তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, যারা পার্টি অফিসে নেশার বসাচ্ছে তারা কেমন সমাজসেবা করবে, বোঝাই যাচ্ছে। সেকারণেই বাংলার মানুষ ওদের ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। ওরা আর কোনওদিনই ফিরতে পারবে না।