মাতুলের থেকে বিত্তলাভ হতে পারে। কোনও বিষয়ের মানসিক উদ্বেগ কমবে। বিদ্যাচর্চায় বিশেষ শুভ। ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রনিয়াড়ার দিলীপবাবু বছর খানেক ধরে মোটরভ্যান চালাচ্ছিলেন। রবিবার সকালে ফুলবেড়িয়ায় এক যাত্রীকে চাপানো নিয়ে তাঁর সঙ্গে টোটো চালক অভিজিতের বচসা হয়। পরে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। সেই সময় টোটো চালক একটি কাঠের খণ্ড দিয়ে দিলীপবাবুর মাথায় আঘাত করে। তার জেরে দিলীপবাবু রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিস পৌঁছয়। জখম দিলীপবাবুকে উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বড়জোড়া থেকে তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। মারধরের ঘটনার পর দিলীপবাবুর পরিবারের তরফে বড়জোড়া থানায় অভিযোগ করা হয়। পুলিস অভিযোগের ভিত্তিতে টোটোচালককে গ্রেপ্তার করে। ঘটনায় দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাঁকুড়া-দুর্গাপুর ৯ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে বড়জোড়া থানার পুলিস গিয়ে আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তের ব্যবহৃত কাঠের খণ্ড উদ্ধার হয়েছে। ঘটনার সব দিক তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপবাবু আগে গাড়ি চালাতেন। বছর খানেক ধরে মোটর ভ্যান চালাতে শুরু করেছিলেন। ওইদিন মোটর ভ্যান নিয়ে ফুলবেড়িয়া যান। সেখানেই গোলমালের জেরে তাঁর মৃত্যু হয়। দিলীপবাবুর পরিবারে স্ত্রী, এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। মেয়ে অষ্টম ও ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। ঘটনার জেরে গোটা পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মৃতের আত্মীয় কার্তিক বাউরি বলেন, ওইদিন দিলীপ আমাদের এক আত্মীয়কে মোটর ভ্যানে চাপিয়ে পৌঁছে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু, টোটো চালক তার জন্য দিলীপকে মারধর করে। আমরা চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কিন্তু, তার আগেই সব শেষ হয়ে গেল। ও খুব কষ্ট করে সংসার টানছিল। ছেলে মেয়ের ভবিষ্যৎ আছে। এখন কীভাবে পরিবারটি চলবে সেই নিয়ে আমরা চিন্তায় পড়েছি। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চাই।