মাতুলের থেকে বিত্তলাভ হতে পারে। কোনও বিষয়ের মানসিক উদ্বেগ কমবে। বিদ্যাচর্চায় বিশেষ শুভ। ... বিশদ
স্থানীয় ও সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ ব্লকের শালেপুর দু’ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ডহরকুণ্ডল গ্রামের দাসপাড়া এলাকায় ২০২১ সালে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ওই সময় পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দ্বারকেশ্বর নদীর জলের তোড়ে ওই এলাকার জানাপাড়ায় হানা পড়ে। ওই হানা এলাকা থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত দাসপাড়া। ওই দাসপাড়ায় নবকুমার দাসের বাড়ির সামনের বাঁধ গর্ত হয়ে জল বেরতে থাকে। ধস নামতে শুরু করে সেখানে। সেই সময়ে পাড়ার মানুষ বালির বস্তা দিয়ে কোনরকমে ওই গর্ত বোজাতে সক্ষম হয়। যার ফলে ওই সময় ওই বাঁধ কোনও রকমে বেঁচে যায়। পরবর্তী সময়ে সেচদপ্তরের পক্ষ থেকে ওই হানা এলাকায় নদী বাঁধ মেরামত করা হলেও এই দাসপাড়া এলাকায় নদী বাঁধে কোনওরকম কাজ করা হয়নি বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, নদীবাঁধের একটি অংশে এখনও গর্ত রয়েছে। নদী বাঁধের গ্রামের দিকে একটি অংশ ধসে গিয়েছে। আসন্ন বর্ষায় যদি নদীর জল বাড়তে থাকে তাহলে এই এলাকার নদীবাঁধ মুহূর্তের মধ্যে ভেঙে যেতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দা নবকুমার দাস বলেন, আমাদের পাড়ায় নদী বাঁধের গায়ে বহু বাড়ি রয়েছে। প্রায় ১০০টি পরিবার এই এলাকায় বসবাস করি। এখানে রয়েছে একটি স্কুল, উপ স্বাস্থকেন্দ্র, মন্দির। ২০২১ সালের বন্যায় আমরা সবাই মিলে কোনওরকমে বাঁধ বাঁচাতে পেরেছিলাম। বন্যা কেটে যাওয়ার পরে আমাদের এই নদী বাঁধ এলাকায় কোনরকম পাইলিং হয়নি। যেমনকে তেমনই রয়েছে। এখনও গর্ত এবং ধস তেমনই রয়েছে। আমাদের পাড়া থেকে কিছুটা দূরে যেখানে হানা হয়েছিল, সেখানে নদী বাঁধের কাজ করা হলেও আমাদের এদিকে কাজ করা হয়নি। যার ফলে নদীর জল বাড়লে আমাদের নদী বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। আরও এক স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত দাস বলেন, সামনেই বর্ষা। নদী আবার ফুলে ফেঁপে উঠবে। এখনই যদি ওই অংশ মেরামত না করা হয়, তাহলে আমরা বিপদে পড়ব। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ, নদী বাঁধের ওই অংশটি দ্রুততার সঙ্গে মেরামত করা হোক।