মাতুলের থেকে বিত্তলাভ হতে পারে। কোনও বিষয়ের মানসিক উদ্বেগ কমবে। বিদ্যাচর্চায় বিশেষ শুভ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, মাঝরাতে বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইলেক্ট্রিক পোস্টে ধাক্কা মেরে মৃত্যু হয় দেবাঞ্জনের। ওই যুবক বেঙ্গালুরুতে একটি সংস্থায় চাকরি করতেন। পাঁশকুড়া শহরে স্টেশন বাজার রোডে তাঁর বাড়ি। গত ২ মে রাতে পিকনিকে যোগ দেওয়ার নামে বাড়ি থেকে বের হন দেবাঞ্জন। দু’টি বাইকে দেবাঞ্জন সহ মোট চারজন ছিলেন। বাড়িতে ভীমতলায় এক বন্ধুর বাড়িতে পিকনিকে যোগ দিতে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছিলেন দেবাঞ্জন। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ নারায়ণদিঘিতে তাঁর বাইক দুর্ঘটনায় পড়ে। ভীমতলা এবং নারায়ণদিঘি সম্পূর্ণ বিপরীত রাস্তায়। দুর্ঘটনার পর আহত ওই যুবককে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহত যুবকের পরিবারের দাবি, দুর্ঘটনার পর থেকেই দেবাঞ্জনের সঙ্গী তিন যুবকের ভূমিকা রহস্যজনক। দেবাঞ্জন নিজে একটি বাইক চালাচ্ছিলেন। ওই বাইকের আরোহী দুর্ঘটনাস্থল থেকে বেপাত্তা হয়ে যান। বাকি দু’জন দুর্ঘটনা নিয়ে ভিন্নরকম তথ্য দিচ্ছেন। দুর্ঘটনার পর একজন পুনে চলে যান। দেবাঞ্জনের বন্ধু হিসেবে একসঙ্গে চারজন বাড়ি থেকে বেরলেও তাঁদের ভূমিকা বেশ রহস্যজনক। শুধু তাই নয়, তাঁরা দুর্ঘটনা নিয়ে নিহতের পরিবারকে ভুলপথে পরিচালিত করছে। ওই রাতে দেবাঞ্জনের বন্ধুদের উদ্দেশ্য কী ছিল তা জানতে সঙ্গী তিনজনকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করা উচিত বলে মৃতের বাবা সুকান্ত দাস দাবি করেছেন। তাছাড়া, ওই তিনজন নিহতের পরিবারকে দুর্ঘটনা নিয়ে যথাযথ উত্তর না দেওয়ার কারণও খতিয়ে দেখা দরকার বলে সুকান্তবাবুর দাবি।
শনিবার নিহত দেবাঞ্জন দাসের মা উমা দাস পাঁশকুড়া থানায় এফআইআর করেছেন। দুর্ঘটনায় ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় পাঁশকুড়ার বাহারগ্রামের তিন যুবকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। দুর্ঘটনার রাতে ওই তিন যুবক দেবাঞ্জনের সঙ্গে ছিলেন। নিহত যুবকের বাবা সুকান্ত দাস বলেন, রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ছেলেকে ফোন করছিলাম। তখন খাওয়া দাওয়া করছে বলে জানিয়েছিল। তারপর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। রাত দেড়টা নাগাদ আমরা দুর্ঘটনার খবর পাই। কিন্তু, দেবাঞ্জনের সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁদের কেউ উদ্ধার করেনি। হাসপাতালেও যায়নি। গোটা ঘটনার মধ্যে রহস্য রয়েছে বলে আমরা মনে করছি। তাই ওই তিনজনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়েছে। পাঁশকুড়া থানার আইসি সমর দে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।