পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমসভিপি তাপস ঘোষ বলেন, নিউরোর জটিল অপারেশনের জন্য কয়েকজন চিকিৎসক প্রয়োজন। স্বাস্থ্যভবনে তা জানানো হয়েছে। চিকিৎসকরা এলেই জটিল অপারেশন শুরু হবে। এখন ‘মাইনর’ অপারেশন হচ্ছে। অনাময় হাসপাতালের সুপার শকুন্তলা সরকার বলেন, আউটডোরে অনেকেই চিকিৎসা করতে আসছেন।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের কোনও হাসপাতালে নিউরো সার্জারির পরিকাঠামো নেই। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া এবং হুগলির একাংশের রোগীদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখান থেকে আবার এসএসকেএমে রেফার করা হয়। অনেকে ক্ষেত্রে সরাসরি এসএসকেএমে রোগীদের রেফার করা হয়। অনাময়ে নিউরো সার্জারি পরিষেবা চালু হলে রেফারের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে যাবে।
এক চিকিৎসক বলেন, কারও মাথায় রক্ত জমাট বাঁধলে সঙ্গে সঙ্গে কলকাতায় রেফার করা হতো। সেই পরিস্থিতির সুযোগ নেয় দালালরা। তারা রোগীর আত্মীয়দের ভুল বুঝিয়ে শহরের নির্দিষ্ট কয়েকটি নার্সিংহোমে ভর্তি করাত। অনাময়ে অপারেশন চালু হয়ে গেলে দালালরা ফায়দা তুলতে পারবে না। রোগীরা সঠিক চিকিৎসাও পাবেন। তাঁদের চিকিৎসার খরচ কমে যাবে। অনাময়ে পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে। চিকিৎসক পাওয়া গেলেই এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান স্বপন দেবনাথ বলেন, অনাময়ে দুই বর্ধমানের পাশাপাশি অন্যান্য জেলার রোগীদের ভিড় উপচে পড়ছে। রোগীরা পরিষেবা পাচ্ছেন বলেই আসছেন। আগামী দিনে নিউরো সংক্রান্ত রোগের জটিল অপারেশনও এখানে হবে। তখন রোগীদের কলকাতায় যাওয়ার দরকার হবে না।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। অনেকেই মাথায় চোট পান। তাঁদের চিকিৎসার জন্য কলকাতায় পাঠাতে হয়। তাতে সময় নষ্টের পাশাপাশি টাকাও খরচ হয়। সময় নষ্ট হওয়ার কারণে অনেকের মৃত্যু হয়। অনাময়ে এই পরিষেবা পাওয়া গেলে বহু মানুষ প্রাণে বেঁচে যাবেন। এমএসভিপি বলেন, বুধ ও শনিবার আউটডোর চালু হয়েছে। একজন চিকিৎসক দেখভাল করছেন। আরও দু’জন পাওয়া গেলে আউটডোরের দিন আরও বাড়ানো হবে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলজে হাসপাতালে অন্যান্য চিকিৎসা হলেও নিউরো সার্জারি হতো না। সেটাও এবার চালু হয়ে যাবে। ফাইল চিত্র