সংবাদদাতা, বেলদা: বেশ পুরনো জনপদ বেলদা। নিকাশি নালার সংস্কারের অভাবে প্রায়শই জল জমে যায় এই এলাকায়। এবারও বর্ষায় বেলদা ডুবতে চলেছে আশঙ্কা এলাকাবাসীর। অর্থাভাবের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের সচেতনতার অভাব এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে দাবি প্রশাসনের। বেলদায় ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষের বসবাস। বেলদার পাঁচটি মৌজাকে নিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত মূল নিকাশি নালাটির দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে সংস্কার হয় না। যার ফলে মজে যেতে বসেছে এই নিকাশি নালাটি। বাসিন্দাদের ফেলা জঞ্জালে ভরে গিয়েছে নালা। নিকাশি বেহাল হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায় বেলদার বিস্তীর্ণ এলাকা। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর। ময়নাপাড়া থেকে শুরু হয়ে শ্যামপুরা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটারজুড়ে থাকা নিকাশি নালাটি দিয়ে এলাকার জল বয়ে গিয়ে স্থানীয় একটি খালে পড়ে। কিন্তু সংস্কারের অভাবে বিভিন্ন কালভার্টের মুখ বুজে গিয়েছে। গত কয়েক বছর আগে শ্যামপুরার দিক থেকে প্রশাসনের উদ্যোগে নিকাশি নালার সংস্কার শুরু হলেও কয়েকশো মিটার সংস্কার হয়ে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়াও বেশকিছু জায়গায় হাইড্রেনের ওপরে বেআইনি নির্মাণ হওয়ায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়েছে বলে অভিযোগ। তাছাড়া বেলদা বাজারের ব্যবসায়ীরা ও এলাকার বাসিন্দারা বর্জ্য ফেলছেন এই নিকাশি নালায়।
স্থানীয় বাসিন্দা অরবিন্দ গিরি বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই নালাটির সংস্কার হয়নি। ফলে এবারের বর্ষায় বেলদা ডুবতে চলেছে। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, বর্ষার আগে দ্রুত নিকাশি নালাগুলির সংস্কার করা হোক। ব্যবসায়ী কৌশিক দাস বলেন, এলাকায় জঞ্জাল ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা না থাকায় অনেকেই ড্রেনের মধ্যে ময়লা ফেলে দিচ্ছেন, ফলে বুজে হয়ে যাচ্ছে ড্রেন। সমস্যাটি দীর্ঘদিনের, আর তা সমাধানের জন্য প্রশাসনের উদ্যোগ রয়েছে বলে দাবি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রবীন্দ্রনাথ অধিকারীর। তিনি বলেন এই বড় নিকাশি নালা সংস্কার করার জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন। কেন্দ্র সরকার ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ায় তা করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এবারে খুব শীঘ্রই রাজ্য সরকারের কর্মশ্রী প্রকল্পের মধ্য দিয়ে এই নালাগুলি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের ড্রেনে ময়লা না ফেলার জন্য অনুরোধও করেন। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা যদি সচেতন না হন তাহলে তা সংস্কার করা কষ্টসাধ্য হয়ে উঠবে।