পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
শনিবার দুবরাজপুরে সংবর্ধনা সভাতে হাজির হন শতাব্দী। সেখানে ব্লক স্তরের নেতা ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি দলের ফলাফল নিয়ে নানান পর্যালোচনা করেন। সেখানে শিবঠাকুরকে একহাত নেন তিনি। শতাব্দী বলেন, নির্বাচনের আগে বলেছিলাম, আপনাদের সম্পর্কে অভিযোগ আসছে। শিবঠাকুরকে আমি নিজে বারবার বলেছিলাম, বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলবেন না, ফলাফল খারাপ হবে। শিবঠাকুর তখন বলেছিলেন, দিদি আপনি ভাববেন না, ফলাফল ঠিক দেখিয়ে দেব। আজ প্রমাণিত হল, আপনি ভুল পথে চলছিলেন। আমাকে যাঁরা ভুল প্রমাণ করেছেন, তাঁরা হয়তো কিছু ক্ষেত্রে ঠিক বলেছিলেন। কিন্তু শিবঠাকুর ভুল ছিলেন তা প্রমাণ হল। ভবিষ্যৎ আপনারও আছে, দলেরও আছে। এবার দেখে নিন কী করবেন! ফলে এই মন্তব্য নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা হলে। রাজনৈতিক মহলেও বেশ আলোড়ন পড়ে যায়। এই প্রসঙ্গে শিবঠাকুর বলেন, এটা ঠিকই যে, ১৪টা সংসদের মধ্যে ১০টা সংসদেই আমরা হেরে গেছি। দিদি আমায় ভালোবাসেন। উনি কী বলেছেন আমি জানি না। আগের বার ১৮০০ ভোটে পিছিয়ে ছিলেন, এখন ১০০০ ভোটে পিছিয়ে আছি। এবার দল কী করবে, সেটা দলের ব্যাপার।
অন্যদিকে, আগের দিন খয়রাশোলের পর শনিবারও একইভাবে দলের মধ্যে থাকা ‘গদ্দার’দের চিহ্নিত করার কথা তাঁর গলায় শোনা যায়। ভোটের সময় দলে থেকেও বিরোধী দলকে সাহায্য করা নেতা ও কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থানের পথে হাঁটতে চলেছে শাসকদল তৃণমূল। শতাব্দী রায় চতুর্থবারের জন্য সাংসদ নির্বাচিত হয়ে বারবার সেকথা বলছেন। ভোটের সময় ব্যবস্থা না নেওয়া হলেও এরপর দল থেকে যে এইসব ‘বেইমান’কে তাড়ানো হবে, তা স্পষ্ট করে দিচ্ছেন সাংসদ। তিনি বলেন, দল সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া শুরু করেছে। হয় খোলামেলা বিরোধিতা কর, কিন্তু দলে থেকে বিরোধিতা কোরো না। প্রত্যেক এলাকা থেকে উচ্চ নেতৃত্বের কাছে তালিকা পাঠাচ্ছে। দল সেই ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবে।
দলের উচ্চতর নেতৃত্বকে অনুরোধ, যারা দলে থেকে দলের বিরুদ্ধে গদ্দারি করেছে, তাদের দল থেকে বের করুন। আমাদের সঙ্গে মুখোশ পরে যাঁরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তাঁদের আর সুযোগ দেবেন না। এইসব ‘বেইমান’ নেতাদের বের করলে আমাদের জন্য ভালো হবে।
এদিন বিকালে সিউড়ি পুরসভার তরফ থেকেও সাংসদকে সম্মাননা দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি যেসব অঞ্চল সভাপতিরা সবথেকে ভালো ফলাফল করেছেন, তাঁদেরও আলাদাভাবে পুরস্কৃত করা হবে।