পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে পানাগড় শিল্পতালুকে এসেছিলেন মমতা। সেখানের এক বেসরকারি কারখানার শিলান্যাস করে কর্মসংস্থানের বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। তারপর পানাগড় ও অণ্ডালে একাধিক শিল্প গড়ে উঠে। তারপরই শিল্পাঞ্চল জুড়ে চর্চা ছিল, বন্ধ কারখানার জমিতে কেন নতুন শিল্পদ্যোগ আনতে উদ্যোগী হচ্ছে না রাজ্য। একদিকে বন্ধ কারখানাগুলি থেকে লোহা কাটিং হয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে জমি পড়ে থাকায় তা অনেকে দখল করে অসাধু ব্যবসা করছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আক্রমণ করেন ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ খৈতান। তিনি বলেন, হয় বন্ধ কারখানার মালিকদের তা নতুন করে খুলতে বলুন, না হলে জমি সরকার নিয়ে নতুন উদ্যোগীদের দেওয়ার ব্যবস্থা করুক। এরপরই প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয়। এখন দেখার এনিয়ে রাজ্য সরকার কত দ্রুত প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
অন্যদিকে দুর্গাপুরের একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীকে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করা নিয়ে শিল্পাঞ্চল জুড়ে জোর চর্চা। রাজনৈতিক মহলে এনিয়ে দড়ি টানাটানি থাকলেও ব্যবসায়ী মহল খুশি। সাধারণ রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধিরাই এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলে এসেছেন। এবার একজন ব্যবসায়ীকে এই পদে বসিয়ে ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অনেকের মতে, আসানসোল দুর্গাপুরে শিল্প গড়ার ক্ষেত্রে এডিডিএর গুরুত্ব অপরিসীম। তার মাথায় এক ব্যবসায়ীকে দেখে অনেকেই বিনিয়োগ করতে আত্মবিশ্বাসী হবেন।
ফেডারেশন অব সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক শচীন রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সভাপতির আবেদনে সাড়া দিয়েছে। বন্ধ কারখানার জমি নিয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিলে শিল্পের নতুন বিকাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া এডিডিএর চেয়ারম্যান হিসাবে যেভাবে একজন ব্যবসায়ীকে আনা হয়েছে তাতেও আমরা খুশি। এডিডিএ চেয়ারম্যান কবি দত্ত বলেন, নিয়মের মধ্যে থেকে ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধান করতে উদ্যোগী হব। শিল্পের যাতে বিকাশ হয়, তা নিয়ে আমরা সচেষ্ট থাকব।