একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
একসময় বামেদের ইশারা ছাড়া কেতুগ্রামে গাছের পাতাও পড়ত না। এখন সেখানে পার্টি অফিস খোলার মতো সংগঠন নেই। তৃণমূলের দাপটে আধিপত্য হারিয়েছে বামেরা। তবে ২০২১ সালের পর থেকেই বামেদের পালে ফেরে নতুন করে হাওয়া লেগেছে। কেতুগ্রাম-১ ব্লকের পালিটা, আগরডাঙা, কান্দরা, কোমরপুর, কেতুগ্রাম-২ অঞ্চলের বিল্বেশ্বর, গঙ্গাটিকুরি অঞ্চলগুলিতে বামেদের মিটিং মিছিলে ভিড় বাড়ছে। কেতুগ্রামের যে পাঁচটি পার্টি অফিস খুলতে পারছিল না এতদিন, সেগুলি খোলা হচ্ছে। সকাল সন্ধ্যা ভিড় বাড়ছে। তবুও শঙ্কায় রয়েছেন বাম নেতারা। কেতুগ্রাম-১ সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক আনসারুল হক বলেন, ‘এবার কেতুগ্রামে আমাদের ভোট বাড়বে।’ পালটা কেতুগ্রাম -১ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তরুন মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এবারে আমাদের জয়ের ব্যবধান আরও বাড়বে।’
মঙ্গলকোটেও একটা সময় বামেদের দাপটের কথা রাজ্যবাসী জানেন। খুনের পর খুন, বিরোধীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ—সবকিছুতেই মঙ্গলকোট ছিল সংবাদ শিরোনামে। সেই ছবি এখন বদলে গিয়েছে। বর্তমানে মঙ্গলকোট তৃণমূলের ঘাঁটি। সেই মঙ্গলকোটেও এখন বামেদের মিটিং-মিছিলে ভিড় বাড়ছে। দলের প্রার্থী শ্যামলী প্রধান দুই ব্লকের বেশির ভাগ অঞ্চল চষে ফেলেছেন। মঙ্গলকোটের সিপিএম নেতা দূর্যোধন সর বলছিলেন, ‘মঙ্গলকোটেও এবার আমাদের ভোট বাড়বে।’ তবে ভোটের ফলাফল ঘেঁটে দেখা গিয়েছে, ২০১৪ সালে বোলপুর লোকসভা (কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোট বোলপুর লোকসভার অধীন)’য় সিপিএম ৩০.২৪ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। আর বিজেপির ঝুলিতে এসেছিল ১৫.১৩ শতাংশ ভোট। ২০১৯ সালে এখানে বিজেপির ভোট বেড়ে দাঁড়ায় ৪০. ৫৭ শতাংশ। আর বামেদের ভোট কমে দাঁড়ায় মাত্র ৬.২৯ শতাংশে। ফলে, এটা স্পষ্ট বামেদের ভোটেই বলিয়ান হয়েছিল বিজেপি। তৃণমূলেরও দাবি, ২০১৯ সালে বামেদের ভোট রামে গিয়েছিল। এবার সেই ভোট ফেরার আশায় রয়েছে সিপিএম নেতৃত্ব। পূর্বস্থলীতে সিপিএমের সভায় ভিড়। নিজস্ব চিত্র