একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিন দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ অভিষেক রোড শো করার জন্য বিশেষ গাড়িতে ওঠেন। তার আগেই গাড়িতে উঠেছিলেন আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। প্রার্থী ও অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক, বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, বিধান উপাধ্যায় ও হরেরাম সিং। মা লক্ষ্মী সেজে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হাতে মেয়েরা যেমন রোড শোয়ে শামিল হন, তেমনই রণপা, ঢাকিদের দল মিছিলকে আরও রঙিন করে তোলে। এদিনের ভিড়ে সোমবার নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের মুখের হাসি চওড়া হতেই পারে। অভিষেকের গাড়ির সামনে যত লোক ছিল, তার পিছনে দেখা যায় দ্বিগুণেরও বেশি লোক। যা দেখে উৎসাহিত অভিষেক স্বস্তির হাসি হেসে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়াতে থাকেন।
শোভাযাত্রা আসানসোল আশ্রম মোড়ে কিছু আগে আসতেই জিটি রোডের উপর একটি পুরনো বাড়ির ছাদ থেকে নমস্কার করছিলেন এক বৃদ্ধ দম্পতি। সেদিকে নজর পড়তেই অভিষেক গাড়ি থেকেই তাঁদের উদ্দেশে প্রণাম নিবেদন করেন। আশ্রম মোড় আসার আগে পেট্রল পাম্পের কর্মীরা একই পোশাক পরে দাঁড়িয়ে তাঁর দিকে হাত নাড়তে থাকেন। তিনি পাল্টা অভিবাদন ফিরিয়ে দেন। জিটি রোড ও রোডের দু’পাশে নতুন প্রজন্মের ছেলেদের ভিড় বেশি থাকলেও রাস্তার মোড়ে মোড়ে ছিল মহিলাদের ভিড়। অভিষেক ও শত্রুঘ্নকে দেখতেই তাঁরা হাত নাড়তে থাকেন। অভিষেক তাঁদের উদ্দেশে গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে নমস্কার করেন।
অভিষেকের গাড়ি যখন আশ্রম মোড় চলে এসেছে, তখনও মিছিলের শেষ প্রান্ত ছিল ঊষাগ্রামের কাছে। এতটাই সুদীর্ঘ মিছিল ছিল তৃণমূলের সেনাপতির। রাহা লেন মোড়ের আগে অভিষেক দেখেন এক প্রতীক্ষালয়ে দাঁড়িয়ে ঠাকুমা তাঁর নাতিকে দিয়ে হাত নাড়াচ্ছে। ঠাকুমার উদ্দেশে প্রণাম করতে দেখা যায় ডায়মণ্ডহারবারের বিদায়ী এমপিকে। এদিন রাহা লেন মোড়ে তৃণমূল কর্মীরা মঞ্চ বেঁধে তাঁকে স্বাগত জানান। অভিষেক তাঁদের উদ্দেশে বিশেষভাবে হাত নেড়ে উৎসাহিত করেন। সিটি বাসস্ট্যান্ড আসার আগে এক বালিকাকে অভিষেকের ছবি নিয়ে বাবার কোলে চেপে থাকতে দেখা যায়। অভিষেক সেই ছবি সংগ্রহ করে নেন। চারপাশে মানুষের ভিড় এতটাই বেশি ছিল যে একটা সময় গাড়ির পিছনের দিকে চলে গিয়ে তাঁর পিছন পিছনে আসা মানুষদের উৎসাহিত করতে থাকেন। রাস্তার দু’পাশে প্রতিটি বহুতল থেকেই অভিষেককে দেখতে উৎসাহী মানুষের ভিড় দেখা গিয়েছে।
রোড শো শেষ হয় আসানসোল সিটি বাসস্ট্যান্ডে। সেখানে শত্রুঘ্ন সিনহা বলেন, নিজের মনোনয়ন জমা করেই আমার হয়ে প্রচারে চলে এসেছেন বাংলার ইউথ আইকন। ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই।