একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিন সকালে বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কান্দিতে প্রচার শুরু করেন। তিনি কান্দি নেতাজি বাস টার্মিনাস এলাকা থেকে রাস্তায় হেঁটে মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ করতে থাকেন। বাস টার্মিনাস থেকে কান্দি বাজার, কাঁঠালতলা হয়ে বিশ্রামতলা যান। সেখান থেকে স্টেট ব্যাঙ্ক মোড় দিয়ে জেমো, তিনসাঁকো মোড় পর্যন্ত প্রচার সারেন। পরে সেখান থেকে যশোহরি, আনুখা-১ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকটি গ্রামেও যান। কান্দি শহরে হেঁটে প্রচার করলেও শহরের বাইরে হুডখোলা গাড়িতে র্যালি করেন।
কিন্তু শহরের ১১ নম্বর এলাকার বিজয়বাগানের ঘটনায় আপ্লুত তৃণমূল প্রার্থী। অন্যান্য মহিলাদের সঙ্গে সেখানে প্রার্থীর সাক্ষাতের জন্য দাঁড়িয়েছিলেন মন্থনা বাগদি ওরফে বনি বাগদি। তিনি কিছু একটা নিজের কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন। সেটা অনেকে লক্ষ্য করলেও সেভাবে পাত্তা দেননি। কিন্তু মুহূর্তের একটি ঘটনা সবাইকে নাড়িয়ে দেয়। তিনি কাপড় ঢাকা অবস্থায় ইউসুফ পাঠানের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েন। এরপর বাড়ির সিংহাসন থেকে তুলে আনা গোপালকে কাপড় সরিয়ে বের করেন। ইউসুফের কপালে গোপালের পা ঠেকিয়ে আশীর্বাদ করেন। তিনি বলেন, ঠাকুর আপনার সঙ্গে রয়েছেন। ঠাকুরের আশীর্বাদে এবার আর আপনাকে কেউ আটকাতে পারবে না। এসব দেখে ইউসুফ প্রথমে সামান্য চমকে গেলেও তাঁর চোখ থেকে জল বেরিয়ে আসে। হাত দিয়ে চোখের জল মুছে হাসতে থাকেন। তাঁর মন্তব্য, ভাষা হারিয়ে ফেললাম। আজ ভগবানের আশীর্বাদও পেয়ে গেলাম। আমার জীবনে আর কোনও দুঃখ থাকল না।
এই ঘটনার সময় প্রচার থমকে গিয়েছিল। প্রচারের জয়ধ্বনিও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। পিছনের সারিতে থাকা দলীয় কর্মীদের কাছে তখনও ব্যাপারটি আজানা। যদিও মিনিট খানেক পরেই ফের পুরোদমে প্রচার শুরু হয়ে যায়। ইউসুফ ফের হেঁটে প্রচার শুরু করলেন। ইউসুফের প্রচারে সঙ্গে থাকা দলের বহরমপুর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, আমাদের দলের প্রতি মানুষের ভালোবাসার প্রকৃষ্ট উদাহরণ আর কিছু হতে পারে না। আমাদের প্রার্থী হারুন বা জিতুন, মানুষের এই ভালোবাসা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।