ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
এদিন সকাল থেকেই বাড়িতে আসা প্রতিবেশীদের চোখমুখ দেখে ‘কু’ডাকছিল তাপসের বাবা দেবাশিস রাউতের মন। ততক্ষণে গ্রামের মানুষ জেনে গিয়েছেন, তাপসের মৃত্যুসংবাদ। বারে বারে মূর্ছা যাচ্ছেন তাপসের মা লক্ষ্মী রাউত। দুর্ঘটনার খবর জানার পর থেকে ছেলের চিন্তায় বাবা, মা, বোন কার্যত জলটুকু পর্যন্ত খাননি। আশা ছিল, জখম হলেও অন্তত পাড়ার অন্য বন্ধুদের মতো বেঁচে ফিরবে তাঁদের একমাত্র ছেলে তাপস। রাজু নামেই পাড়ায় বেশি পরিচিত। ছেলের নিথর দেহ দেখে হাউহাউ করে প্রতিবেশীদের জড়িয়ে কাঁদছিল পরিবার। তাপসের মায়ের চোখেমুখে বারবার জল ছেটান প্রতিবেশী মহিলারা। স্থানীয় তনুজা বিবি বলেন, অভাবের সংসার। রাজুর রোজগারেই সংসার চলত। খুবই মিশুকে ছেলে ছিল। পুকুরপাড়ে ডেকে তাপসের বাবা দেবাশিসকে বুকে জড়িয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন দাদু সুদর্শন রাউত। তিনি বলেন, বাচ্চা ছেলেটা বন্ধুদের সঙ্গে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে চেন্নাই যাচ্ছিল। বেঘোরে মারা গেল। লক্ষ্মীপুজোর সময় দিল্লি থেকে এসে বলল, আর ওখানে যাবে না। বন্ধুদের কথামতো আবার সেখানে কাজে যাচ্ছিল। স্থানীয় গ্রামীণ চিকিৎসক শ্রীকান্ত দাস অধিকারী বলেন, শুক্রবার তাপসই প্রথম দুর্ঘটনার খবর দিয়েছিল আমাকে। তারপর আমরা ওইদিন রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বালেশ্বরে রওনা দিই। ওখানে গিয়ে ওকে খুঁজে পাইনি। বালেশ্বরের সমস্ত হাসপাতাল, ভদ্রক, কটক, ফেরার পথে মেদিনীপুরের সর্বত্র খুঁজেও ওকে পাইনি। ভোরে খবর পাই ওর দেহ বালেশ্বরের হাসপাতালের মর্গে আছে। সকালে সাড়ে ১১টা নাগাদ গিয়ে ওর দেহ দেখতে পাই। তাপসকে প্রথম উদ্ধার করেছিলেন অভিজিৎ জানা। এদিন বন্ধু তাপসের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাক্যহারা তিনি।