ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
শ্যামনগরের যুবক সঞ্জয় এলাকায় রান্না সহ নানান কাজ করতেন। বাড়িতে স্ত্রী ও সাত বছরের কন্যা রয়েছে। বাড়িতে আর্থিক অনটন মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। পরিচিত বন্ধু রবি বিশ্বাস কেরলে দীর্ঘদিন ধরে থেকে ভালো আয় করছে। সে কারণে এবার তিনি রবির সঙ্গে প্রথমবার কেরল যাচ্ছিলেন। রাজমিস্ত্রির জোগাড়ে হোক কিংবা রান্নার কাজ, যে কোনও কিছু করার লক্ষ্য নিয়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস চেপেছিলেন। কিন্তু শুক্রবার রাতের ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, তাঁর সুখস্বপ্ন কেড়ে দুঃস্বপ্নের আঁধার ভরে দিয়েছে। এখনও ঘুমের ঘোরে দুঃস্বপ্নে জেগে উঠছেন। সঞ্জয় বলেন, আমি ‘এস-থ্রি’ কামরায় ছিলাম। বাথরুম থেকে সিটের কাছে আসতে না আসতেই বিস্ফোরণের মতো আওয়াজ। অন্ধকারের মধ্যে পাক খাচ্ছে ট্রেন। সবাই ছিটকে পড়ছে। সিটের পাশের লোহা ধরে আছি, চোখের সামনে দিয়ে ভাঙা জানালা দিয়ে অনেকেই ছিটকে গেল। জোর ঝটকায় আমিও জানালা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলাম। ওই সময় একটি লোহার রডে আমার আমার ডান হাত ও পা আটকে যায়। দেহের বাকি অংশ ট্রেনের বাইরে ঝুলছে। কয়েক মুহূর্ত আমি অচেতন হয়ে যাই। পরে নিজের পা ওই রড থেকে বের করে ট্রেন থেকে নেমে ফের অচেতন হয়ে যাই। হাসপাতালে জ্ঞান ফেরে। সেখানে রবিকেও দেখতে পাই। মনে হচ্ছে এখনও ধারে কাছে মৃত্যু ঘুরছে। যে কোনও মুহূর্তে ছিটকে গিয়ে ট্রেনে চাপা পড়তে পারি।