ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
মূল মন্দির থেকে এদিন জগন্নাথদেব, বলরাম ও সুভদ্রাদেবীর বিগ্রহ স্নান বেদিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ষোড়শোপাচারে ঘি, দুধ, দই, মধু, পাঁচ রকমের ফলের রস, ডাবের জল সুগন্ধী দিয়ে স্নান করানো হয়। জগন্নাথদেবকে প্রতিদিনই অন্ন, ডাল, বিভিন্ন পদের ব্যঞ্জন ভোগ দেওয়া হয়। কিন্তু, এই বিশেষ দিনে শাক, সুক্তো, পাঁচ রকমের ভাজা, পনির তরকারি ইত্যাদি ৫৬ রকমের ভোগ নিবেদন করা হয়। মন্দিরের পূজারি ও ভক্তরা প্রথা মেনে স্নান করান। স্নানযাত্রার পরের দিন থেকে ১৫দিন মন্দির বন্ধ থাকে। কথিত আছে, স্নানের পর প্রভুর জ্বর চলে আসে। এটা তাঁরই লীলা। এরপর রথের আগের দিন পুনরায় ভক্তদের তিনি দর্শন দেন। রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরের অধ্যক্ষ নির্মল চৈতন্য দাস বলেন, এই বিশেষ দিনে জগন্নাথ, বলরামকে গজবেশ আর সুভদ্রাদেবীকে পদ্মবেশ পরানো হয়।
ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, ইসকনের শাখা কেন্দ্র রাজাপুর জগন্নাথ মন্দিরে চিরাচরিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে স্নানযাত্রা উৎসব পালন করা হচ্ছে। প্রায় ৩০ হাজার ভক্ত এদিন প্রসাদ গ্রহণ করেছেন।
স্নান যাত্রার এই পূর্ণ তিথিতে নবদ্বীপের গ্রাম্যদেবী মা পোড়ামার বিশেষ পুজো পাঠ, হোম যজ্ঞ ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হয়। ব্যান্ডপার্টির বাদ্যযন্ত্র সহকারে গঙ্গা থেকে ১০৮ কলসি জল নিয়ে আসা হয়। সেই জল দিয়ে মা পোড়ামাকে স্নান করানো হয়। বছরের এই একটা দিন দুপুরে দেবীর উদ্দেশ্যে পুষ্পান্ন, পাঁচরকম ভাজা, বিভিন্ন রকমের তরকারি, পরমান্ন, দই, মিষ্টি ইত্যাদি ভোগ নিবেদন করা হয়। প্রধান পুরোহিত মানিকলাল ভট্টাচার্য বলেন, সারাবছর ফল, নৈবেদ্য, মিষ্টি ভোগ দেওয়া হয়ে থাকে। কেবলমাত্র স্নানযাত্রার পূর্ণ তিথিতে খিচুড়ি, পুষ্পান্ন ভোগ নিবেদন করা হয়।