শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
পঞ্চায়েত নির্বাচন ও তার পরবর্তী সময় থেকে দলের বিধায়ক পূর্ণচন্দ্র বাউরিকে নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রচুর ক্ষোভ ছিল। যার প্রভাব পড়ে লোকসভা ভোটে। লোকসভা নির্বাচনে রঘুনাথপুর বিধানসভায় তৃণমূল প্রায় ৪৬ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল। বিষয়টি নজরে আসে মুখ্যমন্ত্রীর। তাই এবার রঘুনাথপুরে নতুন মুখ আনা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এবার তৃণমূল প্রার্থী করেছে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ, শিক্ষক হাজারি বাউরিকে। তাঁকে প্রার্থী করার দিনই তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যায়। বিজেপিও এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে হাইকোর্টের আইনজীবী বিবেকানন্দ বাউরিকে। দুই প্রার্থীরই বাড়ি রঘুনাথপুর-১ ব্লক এলাকায়। ইতিমধ্যেই তাঁদের সমথনে জোর কদমে চলছে দেওয়াল লিখন। চা, পানের দোকানে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে শিক্ষক-আইনজীবীর দ্বৈরথের কথা। দুই প্রার্থীই কেউ কাউকে এক চুলও জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি নয়। তাই খাজুর গ্রামের বিজেপি প্রার্থী নাকি মেট্যালশহর গ্রামের তৃণমূল প্রার্থী, শেষ হাসি কে হাসবে তা নিয়ে চলছে চুল চেরা বিশ্লেষণ। তবে প্রচারের আলোয় তৃণমূল প্রার্থী বিজেপির থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।
এদিন সাঁতুড়ি নিতুড়িয়া, রঘুনাথপুর-১ ব্লক এবং রঘুনাথপুর শহরের নেতাদের নিয়ে পুরসভার কমিউনিটি হলে সম্মেলন করেন তৃণমূল প্রার্থী। সম্মেলন শেষে হাজারিবাবু বলেন, বিজেপি দল যাঁকে প্রার্থী করেছে, তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী। বছরের বেশিরভাগ সময়টাই তিনি কলকাতাতেই থাকেন। একজন পরিযায়ী নেতা কখনই সাধারণ মানুষের কথা ভাববে না। তাই মানুষ ঘরের ছেলে, গ্রামের ছেলেকেই বেছে নেবে। সব সময়ে বিপদে আপদে মানুষ যাঁকে পাশে পাবে তাঁকেই ভোট দিয়ে জয়ী করে আনবেন। বিধানসভায় জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা।
বিবেকানন্দবাবু বলেন, এর আগেও তো ১০ বছর এলাকায় তৃণমূলের বিধায়ক ছিল। উনি কতজন মানুষের কাছে কাছে গিয়েছিলেন? এলাকার কী উন্নয়ন করেছেন? আমি খাজুরা গ্রামের ছেলে, হাজারিবাবু হয়তো সেটা ভুলে গিয়েছেন। আমার মনে হয়, আগাম হারার খবর পেয়ে উনি অবসাদে ভুগছেন। ওঁর যদি এতো জনসমর্থন থাকত তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের আসনে ১০ হাজার ভোটে হারতেন না। কথা দিলাম, ১ লক্ষ ভোটে তাঁকে পরাজিত করব।