কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলীয় কর্মীদের স্বাগত জানানোর জন্য জেলার বিভিন্ন এলাকায় তোরণ করা হয়েছে। প্রতিটি ব্লক, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তর থেকে দলীয় কর্মী সমর্থকরা সভায় আসেবন। তার জন্য ছোট-বড় যানবাহন ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে সভায় এক লক্ষ মানুষের সমাগম হবে। নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রী কর্মীদের কী বার্তা দেবেন, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা। এদিন সভা মাঠে গিয়ে দেখা গেল, জোরকদমে চলছে মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ। প্রায় ৫০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ভিভিআইপিদের প্রবেশ পথেও বসানো হয়েছে মেটাল ডিটেক্টর। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিটি সভাতেই ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। নন্দীগ্রামে ধানজমিতে সভা করেও লোককে জায়গা দেওয়া যায়নি। ভিড়ের চাপে বহু মানুষ সভাস্থলে যেতে পারেননি। সেকথা মাথায় রেখে মাঠের শেষ প্রান্ত থেকেও মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে পান, তার জন্য পাঁচটি জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
গত লোকসভা নির্বাচনের আগে একই দিনে আরামবাগ মহকুমার পারুল মাঠ ও খানাকুলে দু’টি জনসভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় দেড় বছর পর আবারও এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো এই মহকুমায় পা রাখতে চলেছেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর এই সভা ভীষণভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। গত লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগ কেন্দ্রটি শাসকদলের দখলে ছিল। কিন্তু, এই লোকসভা কেন্দ্রে অস্বাভাবিক উত্থান হয় বিজেপির। এই পরিস্থিতির মধ্যে মহকুমার সব ক’টি আসন ফের দখলের কথা মাথায় রেখে তৃণমূল নেত্রী নেতা কর্মীদের ময়দানে নামাতে চাইছেন। দলবদলুরা যাতে কোনও প্রভাব ফেলতে না পারে সেই দিকেও তৃণমূল নেত্রীর নজর রয়েছে। দলবদলুদের কাজে লাগিয়ে আসন্ন নির্বাচনে বিজেপি যাতে কোনওভাবেই বাড়তি সুবিধা না পায়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ের বার্তা দেবেন বলে মনে করছে তৃণমূল শিবির।
আরামবাগ ব্লক তৃণমূল সভাপতি পলাশ রায় বলেন, জেলা নেতৃত্বের নির্দেশমতো মুখ্যমন্ত্রীর সভাকে সামনে রেখে বুথ ভিত্তিক প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কর্মীদের এদিন কী বার্তা দেবেন, তা শোনার জন্য আমরা মুখিয়ে রয়েছি।
বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর হুগলি সফর ঘিরে কয়েকদিন ধরেই জেলায় রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। শাসক দলের দাবি, এই সরকারের আমলে বহু মানুষ সরকারি সুবিধা যেমন পেয়েছেন, তেমনই গ্রামে-গঞ্জে রাস্তা, আলো, পানীয় জল ইত্যাদির উন্নয়ন হয়েছে। সেই উন্নয়নে নিরিখেই মানুষ তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বেছে নেবেন। এদিনের সভা থেকেই তা প্রমাণ হয়ে যাবে।