কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, প্রতিবার শীতে কুয়াশা পড়তে শুরু করলেই পাচারকারীরা সেই সুযোগ নেয়। তারা চাষের জমির উপর দিয়ে হাজার হাজার গোরু পার করে বাংলাদেশ নিয়ে যায়। দু’বছর আগে পর্যন্ত মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪পরগনায় গোরু পাচার একজন নিয়ন্ত্রণ করত। এখন ছোট ছোট সিন্ডিকেট তৈরি করে এই পাচার চালানোর চেষ্টা চলছে। এমনটা হতে পারে আগাম আন্দাজ পেয়ে এবছর প্রথম থেকেই পাচার রোধ করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। গোয়েন্দারাও বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তথ্য সংগ্রহে জোর দেয়। তাই এবছর অনেক সময়ই প্রচারে বাধা পাচ্ছে পাচারকারীরা। তবে তারা হাল ছাড়তে নারাজ। কারণ কুয়াশা কেটে গেলে তাদের সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে। তাই তারা বাইরে থেকে ক্যারিয়ার এনে পাচারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। গভীর রাতের দিকে কুয়াশা আরও বাড়ছে। কয়েক মিটার দূরের জিনিসও ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না। সেই সুযোগই তারা বেশি করে কাজে লাগাচ্ছে। কয়েক মাস আগে থেকে বিএসএফের তৎপরতা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয় ক্যারিয়াররা এই কাজ করার ঝুঁকি নিচ্ছে না। তাই মালদহ থেকে তারা গ্যাং এনেছে। তাদেরকে এলাকায় রেখে বর্ডার প্রথমে ঠিক মতো চেনানো হচ্ছে। দু’-একদিন ঘুরে দেখার পরই তারা গভীর রাতের দিকে পাচার শুরু করছে। এক আধিকারিক বলেন, রানিনগর, জলঙ্গি বা ডোমকলের যারা ক্যারিয়ারের কাজ করে তাদের অনেককেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাদের অনেককে স্থানীয় থানার পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। যারা বাইরে রয়েছে তাদেরও সতর্ক করা হয়েছে। তাই মালদহ থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে এসে স্মাগলাররা পাচারের কৌশল নিয়েছে। রবিবার বহরমপুরের একটি সভা থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, পাচারকারীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তাদের কাছে থেকে টাকা নেওয়া হয়। যদিও তৃণমূল নেতা সুকুমার অধিকারী বলেন, বর্ডার দেখার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর। তাই পাচার হলে তার দায়িত্ব কেন্দ্রের উপরই বর্তায়।
গোয়েন্দা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ঘন কুয়াশার সুযোগ নিয়ে পাচারকারীরা মাদকদ্রব্য ওপারে নিয়ে যেতে শুরু করেছে। এখন প্রতিদিন দক্ষিণবঙ্গের কোনও না কোনও এলাকায় বিএসএফ মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করছে। তারপরও গভীর রাতের দিকে পাচার আটকানো সম্ভব হচ্ছে না বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। সীমান্তবর্তী এলাকায় ঝোপঝাড় রয়েছে। এপারের পাচারকারীরা সুযোগ বুঝে সেখানে মাদকদ্রব্য রেখে আসছে। পরে ওপারের দুষ্কৃতীরা তা নিয়ে যাচ্ছে। এখন নিষিদ্ধ সিরাপ পাচারের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। এছাড়া কোনও কোনও সময় তারা গাঁজাও ওপারে নিয়ে যাচ্ছে।