কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
দুয়ারে সরকার কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য, জনমুখী সব প্রকল্প মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া। পাড়ায় পাড়ায় সরকারের এই কর্মসূচিতে মানুষের মন পাওয়ার চেষ্টা যে স্বার্থক, তা পরিসংখ্যানই জানান দিচ্ছে। দুয়ারে সরকার কর্মসূচির সব ‘লাইমলাইট’ যেন একাই টেনে নিয়েছে স্বাস্থ্যসাথী। অতিমারীর পর মানুষ যে স্বাস্থ্য নিয়ে সব থেকে চিন্তিত, সেটা বুঝেই ‘মাস্টারস্ট্রোক’ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটিএমের আদলে ওই কার্ডে প্রতি বছর পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসার সুবিধা পাবে প্রতিটি পরিবার। যার খরচ বহন করবে রাজ্য সরকার। এই জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা পেতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়তি উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। যা দেখে হাসি ফুটেছে শাসক দলের নেতাদের মুখেও। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যা তাঁদের অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, পূর্ব বর্ধমানে এখনও পর্যন্ত পাঁচ লক্ষ ৯২৮৯টি আবেদন জমা পড়েছে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে। আবেদনের পর দু’ লক্ষ ৭৪৫৮টি পরিবার কার্ড হাতে পেয়েছেন। ২২৬৭টি আবেদনের পরবর্তী পর্যায়ের কাজ চলছে। তবে, ৮৭ হাজার ৯৮১টি আবেদন বাতিল হয়েছে।
গত বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে দুয়ারে সরকার কর্মসূচি চলছে রাজ্যের সব পঞ্চায়েত ও পুরসভা এলাকায়। মানুষ যাতে সহজে সরকারি পরিষেবা পেতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যেই এই কর্মসূচি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে এনিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। সেই প্রচারেও ভালো সাড়া মিলছে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, ঐক্যশ্রী, কিষাণবন্ধু সহ একাধিক প্রকল্পে প্রচুর আবেদন জমা পড়ছে। যদিও জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, সবথেকে বেশি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেওয়ার জন্যই আবেদন আসছে। এর পিছনে অবশ্য অন্যতম কারণ, সহজ আবেদন প্রক্রিয়া। আবেদনের পর একটি নির্দিষ্ট দিন জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওইদিন পরিবারের সব সদস্যকে নিয়ে একটি ছবি তুলে হাতে-হাতে কার্ড দেওয়া হচ্ছে। এই ঝামেলাহীন পরিষেবাই প্রধান ‘ইউএসপি’ স্বাস্থ্যসাথীর। বর্ধমান পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা নীলাঞ্জনা দাস, অনিমা সাহারা গত সপ্তাহেই স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড হাতে পেয়েছেন। তাঁরা বলেন, আগে সরকারি পরিষেবা পেতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হতো। এখন ফর্ম ফিলআপের পর একদিন গেলেই কার্ড পেয়ে যাচ্ছি। রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ আমাদের মতো মহিলাদের কথা ভেবেই যেন তৈরি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্প মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। নিখরচায় চিকিৎসা করাতে পেরে মানুষ খুশি। সেই প্রকল্প ইতিমধ্যেই নজির তৈরি হয়েছে। বিরোধীরা যতই স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করুক না কেন, মানুষের তা পরোয়া করছেন না বলেই শাসক দলের নেতানেত্রীরা দাবি করছেন। এমনকী বিরোধী দলের অনেক নেতার পরিবারের সদস্যরাও এই কার্ড করিয়েছেন। তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করানোর হিড়িক আরও বাড়ছে।