কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
তৃণমূল জেলা সহ সভাপতি বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, বিজেপি মাফিয়াদের অর্থবলকে কাজে লাগিয়ে ক্লাবের ছেলেদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে। কখনও চাকরির টোপ দিচ্ছে, কখনও আবার ফিস্টের আয়োজন করিয়ে নিজেদের কাছে টানার চেষ্টা করছে। আসলে বিজেপি দুর্গাপুরে একটা ‘অ্যাকশন স্কোয়াড’ গড়তে চাইছে। কিন্তু এখানকার মানুষ শান্তিপ্রিয়। এসব বরদাস্ত করবে না।
ডিএসপি, এএসপি, ডিপিএল সহ বিভিন্ন শিল্পসংস্থাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে আধুনিক শহর দুর্গাপুর। দামোদর নদের তীরে আর্থিকভাবে সচ্ছল এই শহরের বাসিন্দাদের ক্রীড়া ও সংস্কৃতিপ্রেমী ছিল। সেই সুবাদেই বিভিন্ন পাড়ায় পাড়ায় গড়ে ওঠে ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। শহরের ৪৩ ওয়ার্ডের মধ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডেই একাধিক বড় ক্লাব রয়েছে। এবার সেই ক্লাবগুলিই সফ্ট টার্গেট বিজেপির। নতুন রণকৌশল সাজিয়েছে তারা।
দলীয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, সদ্য বিজেপির পতাকা ধরা এলাকায় কুখ্যাত প্রভাবশালীদের দ্বারা পুরোটা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। বিভিন্ন ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তাঁদের দেদার অর্থবলও ব্যয় করা হচ্ছে, যাতে ক্লাব সদস্যদের মধ্যে বিজেপির আনুগত্য আসে। টোপ গিললেই চলছে মাংস ও বিশেষ পানীয় সহযোগে মোচ্ছব। যে কেন্দ্রীয় সরকার দু’কোটি চাকরি দেওয়ার নাম করে তা পূরণ করেনি, সেই দলের নেতারাই পরিবর্তনের পর কাজ দেওয়ার ‘গাজর’ ঝোলাচ্ছে। এমনকী দলীয় মিটিং মিছিলে নিয়ে যাওয়ার জন্যও ব্যাপক অর্থ খরচ করা হচ্ছে।
কিন্তু কেন হঠাৎ ক্লাব সদস্যদের টার্গেট? রাজনৈতিক মহলের মতে, দুর্গাপুরের রাজনীতিতে ক্লাবগুলির যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। ক্লাব সদস্যদের এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তাই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলই ক্লাবগুলির কাছে চায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে প্রতি বছর ক্লাবগুলিকে আর্থিক সাহায্য করেছেন, তাতে ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে তারা। তাতে বেশিরভাগ ক্লাবের সদস্যরাই তৃণমূলপন্থী। তাই এই অংশে ফাটল না ধরালে যে দুর্গাপুরে ফায়দা তোলা কঠিন বলেই মনে করছে বিজেপি থিঙ্কট্যাঙ্ক। তাই এই কৌশল। কিন্তু, যেভাবে এককালের মাফিয়াদের এখন সামনে আনা হচ্ছে, তাতে শিক্ষিত সমাজের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। এখন থেকেই যদি এভাবে কালো টাকা ব্যবহার করা হয়, তাহলে কোনদিকে দুর্গাপুরকে নিয়ে জেতে চায় বিজেপি, তা নিয়ে তৃণমূল প্রশ্ন তুলছে।
যদিও এসব মানতে চাননি বিজেপি জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই। তিনি বলেন, তৃণমূলে থাকলে ব্যবসায়ী, বিজেপিতে এলেই মাফিয়া হয়ে যায়। তবে একথা ঠিক, আমরা সবার সঙ্গেই যোগাযোগ করছি। তাতে ক্লাবগুলিকেও আমরা পাশে পাচ্ছি।