অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার কৃষ্ণনগরে দলীয় একটি কর্মসূচিতে যোগ দেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। সেখানে এব্যাপারে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, স্বাভাবিক নিয়মেই একটা সংগঠন যখন বড় হয় তখন কিছু সমস্যা দেখা যায়। আবার একটা সংগঠন যখন দ্রুত ভেঙে পড়ে তখন কিছু সমস্যা হয়। বিজেপি দ্রুত বড় হওয়ার জন্য কয়েকটি জায়গায় এরকম সমস্যা দেখা যাচ্ছে। সবাই চাইছে যোগদান করতে, সবাই চাইছে দৌড়তে, সবাই পদ চাইছে। সামনের নির্বাচনকে মাথায় রেখে সকলের মধ্যে একটা উদ্দীপনা কাজ করছে। নদীয়া উত্তরে মণ্ডল গঠনের সময়ও এই কারণে কিছুটা অসন্তোষ তৈরি হয়েছিল। কে নেতৃত্ব দেবে তা নিয়েই মতপার্থক্য হয়েছে। আমরা অনেকটাই তা সামলে নিচ্ছি। তাঁর কটাক্ষ, আরেকটি দল দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাদের ক্ষেত্রে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য একই রকম সমস্যা হচ্ছে।
কালীগঞ্জ বিধানসভার কয়েকজন কর্মীর ভিডিওবার্তা সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। কী বলা হয়েছে সেখানে? কালীগঞ্জ ব্লকের প্রাক্তন যুব সভাপতি পরিচয় দিয়ে এক যুবক বলেছেন, সৈকত সরকারকে সম্প্রতি যুব সভাপতি করা হয়েছে। তিনি ২০১৬সালের বিধানসভায় কালীগঞ্জের প্রার্থী হয়েছিলেন। সেইসময় থেকেই কর্মীদের থেকে নানাভাবে টাকা নেওয়া হয়েছে। আমার কাছ থেকেও টাকা নেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের এক মহিলা প্রার্থী ওঁর বাড়ি ভাড়া দিয়েছেন। জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েও কিছু লাভ হয়নি। রাজ্য নেতৃত্ব চাইলে আমরা সব তথ্য তুলে দেব। জেলা পরিষদের ওই মহিলা প্রার্থী ভিডিও বার্তায় বলেন, জেলা অফিসে সৈকতবাবুর সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল। আমাকে বাড়ি ভাড়ার খোঁজ দিতে বলা হয়েছিল। আমি ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। কিন্তু আজ পর্যন্ত মালিককে তিনি কোনও টাকা দেননি। সেই টাকা আমাকে দিতে হয়েছে। দল কী করে এরকম একজন নেতাকে এত বড় দায়িত্ব দিল? বিজেপির আরও এক মহিলা কর্মী একটি ভিডিও বার্তায় বলেন, আমাকে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা দিতে বলা হয়। আমি টাকা দিলেও আজ পর্যন্ত কোনও কাজ পাইনি। এব্যাপারে সৈকতবাবু বলেন, এই ভিডিওগুলি আগেই ছড়ানো হয়েছে। নতুন কিছু নয়। এসব অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই, তা থাকলে দল আমাকে এই দায়িত্বে বসাত না। তৃণমূলের প্ররোচনায় পা দিয়ে কয়েকজন আমাকে অপদস্থ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও এতে আমার বা বিজেপির মতো দলের কিছু যায় আসে না। আর এরা কতটা বিজেপি কর্মী-সমর্থক তা নিয়েও সন্দেহ আছে।