মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, লক্ষ্যভেদে অবিচল সুপারি কিলার আনাই শেখের নিশানা থেকে রেহাই মিলত না কারও। মন্তেশ্বর থানা এলাকার আরও দুটি শ্যুট আউটের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল তার। মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা সানাউল্লা শেখ ওরফে ডালিম খুনে যে কয়েকজন সুপারি কিলার ছিল, তাদের মধ্যে একজন আনাই। সিআইডি তদন্তে জানতে পেরেছে, আনাইকে খুনের বরাত দেয় কবির হোসেন শেখ। সে ডালিমকে মারার জন্য বন্দুক সাপ্লাই দেয়। সিআইডিএর এক অফিসার বলেন, আনাই ছিল টিমের মধ্যে শার্প শ্যুটার। ২০১৫ সালের ১৫আগস্ট মন্তেশ্বরের তেঁতুলিয়া গ্রামে গোষ্ঠী বিবাদের জেরে কাশেম শেখ, তাঁর ভাই গোপাল শেখ এবং ফারুক শেখ খুন হন। অভিযোগ, কাশেম ও ফটিক গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াইয়ের জেরেই তিনজন খুন হয়েছিলেন সেদিন। ধৃত আনাই ফটিক শেখের ছেলে। কাশেম ও গোপাল খুনেও আনাইয়ের নাম জড়িয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৮ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ মঙ্গলকোটের নিগনচটি এলাকায় নিজের মাছের আড়তে বসে থাকার সময় গুলি করে খুন করা হয় শিমুলিয়া-১ অঞ্চল সভাপতি ডালিম ওরফে সানাউল্লা শেখকে। খুনের পরের দিন ২০ জুন ডালিমের দাদা আশাদুল্লা শেখ মঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে তাঁর দাদাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছে।
ওই খুনে নাম জড়ায় রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা মঙ্গলকোটের বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর ভাই রহমতুল্লা চৌধুরী ও জেলা পরিষদের সদস্য বিকাশনারায়ণ চৌধুরী সহ ১৫ জন তৃণমূল কর্মীর। খুনের সঠিক তদন্ত করার জন্য তৎকালীন পুলিস সুপারকে লিখিতভাবে সিআইডি তদন্তের দাবি জানান মন্ত্রী। এরপর ওই বছরের ২৭জুন মামলার তদন্তভার নেয় সিআইডি। তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকালীন এফআইআরে নাম থাকা ১৭জনের মধ্যে মোট ন’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর ২০১৭ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ১৮জন অভিযুক্তের নামে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় সিআইডি। যারমধ্যে আটজনের নাম ছিল এফআইআরে। এরপর ধৃত জেলা পরিষদ সদস্য বিকাশ নারায়ণ চৌধুরীর নামে ২০১৮ সালের ৫ জুন সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা পড়ে আদালতে।
তার আগে ওই সালের ৪ নভেম্বর এই খুনের মামলায় ঝন্টু শেখ, লাল্টু শেখ এবং উজ্জ্বল শেখ নামে আরও তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় মোট ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। যদিও এদিন প্রায় দু’বছর পর সুপারি কিলার আনাইয়ের গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।