মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
প্রসঙ্গত, লোকসভায় নাগরিকত্ব বিল পেশ নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে এনআরসি আতঙ্ক গ্রাস করেছে দেশবাসীকে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এনআরসির বিরোধিতায় জোরকদমে প্রচার শুরু হয়েছে গ্রামেগঞ্জে। লোকসভা পরবর্তী সময়ে যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন, তাঁদের একটা বড় অংশ ফের তৃণমূলে ফিরতে শুরু করেছেন বলে দলের দাবি। ফলে গ্রামেগঞ্জে গেরুয়া শিবিরের হাওয়া অনেকটাই থিতু হচ্ছে। এর মূল কারণ যে এনআরসির পক্ষে মানুষকে বোঝাতে না পারা তা এদিনের চায়ের আড্ডায় উঠে এসেছে। আলোচনায় ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বিজেপি জেলা সভাপতি সুমিত দাস, স্থানীয় বিজেপি নেতা শ্যামাচরণ রায়, নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্যরা।
জেলা সভাপতি বলেন, জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ করা তো কোনও অপরাধ নয়। আর এটা যে বিজেপি আবিষ্কার করেছে তাও নয়। এর আগে এনআরসি নিয়ে কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও আলোচনা হয়েছে। জ্যোতিবাবুও বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সোচ্চার হয়েছিলেন। কিন্তু এখন দিদি এনআরসি বা সিএবির বিরোধিতায় গলা ফাটাচ্ছেন। ভোট রাজনীতির স্বার্থে অশিক্ষিত এলাকায় গিয়ে এনআরসি নিয়ে ভুল বার্তা তুলে ধরছে তৃণমূল। বিস্তারক যোজনার মাধ্যমে আমরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে পাল্টা প্রচারের ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু এরাজ্যে আইনের শাসন বা গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। শাসক দল আমাদের কর্মীদের মারধর বা পুলিসকে লেলিয়ে মিথ্যা কেস দিয়ে জেলে পুরে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। ফলে প্রচারে গিয়ে বারবার বাধাপ্রাপ্ত হতে হচ্ছে। তবে আমরা এনআরসি বা সিএবি নিয়ে প্রত্যেক মানুষের বাড়ি বাড়ি যাব।
জেলা সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম শ্যামাপদবাবু চায়ে পে চর্চায় অংশ নিলেন। বিজেপি নেতাদের দাবি, বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখেই তাঁদের ওই কর্মসূচি। এদিন আড্ডায় জেলাশাসকের সমালোচনাও উঠে এসে বিজেপির নেতাদের গলায়। শ্যামাপদবাবু বলেন, তৃণমূলের নেতারা এখন গ্রামেগঞ্জে গেলে মানুষের তাড়া খাচ্ছে। তাই জেলাশাসক এখন গ্রামে গিয়ে জনশুনানি করছেন। অনেকদিন হল তিনি এই জেলায় এসেছেন। এতদিন কেন মানুষের কাছে গেলেন না। তাঁর আশঙ্কা, জেলাশাসককে ব্যবহার করছে তৃণমূল। খুব শীঘ্রই এনিয়ে জেলাশাসকের কাছে দরবার করা হবে।
যদিও এই কর্মসূচিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। দলের ব্লক সভাপতি তথা টিআরডিএর ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপির এখন যা অবস্থা তাতে মানুষ ওদের খুঁজে পাচ্ছে না। এনআরসি নিয়ে মানুষ ওদের ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।