বিদ্যায় সাফল্য ও হতাশা দুই-ই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। মামলা-মোকদ্দমার কোনও পরিবেশ তৈরি ... বিশদ
এবিষয়ে অরুণবাবু বলেন, আমি কারও কাছ থেকে জোর করে কোনও টাকা নিইনি। বাড়ি তৈরির সময় উপভোক্তারা নিজেদের ইচ্ছায় ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এখন তাঁরাই ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা দাবি করছেন। ওই পরিমাণ টাকা না নিলেও বাধ্য হয়েই আমি ওই টাকা ফেরত দিচ্ছি। ২৫ জনের মধ্যে এদিন কয়েকজনকে টাকা দিয়েছি। কথা যখন দিয়েছি বাকিদেরও কয়েক দিন বাদে টাকা ফেরত দেব।
এনিয়ে বিজেপির বাঁকুড়া-২ মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ পাণ্ডে বলেন, শুধু অরুণবাবু বা তাঁর এক শাগরেদই নয়, এই ব্লকের বহু নেতা উপভোক্তাদের কাছ থেকে কাটমানি খেয়েছেন। কেশিয়াকোলের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ করতে পেরেছেন। তাই তাঁরা নিজেদের টাকা ফেরত পেয়েছেন। সাধারণ মানুষ সতর্ক না হলে কাটমানি প্রথা বন্ধ করা যাবে না।
প্রসঙ্গত, ২৮ জুন সকালে বাজার থেকে বাইকে বাড়ি ফেরার সময় বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের কেশিয়াকোল গ্রামের মল্লপাড়ার বাসিন্দা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সদস্য অরুণ গড়াইকে ঘিরে ধরেন এলাকার মানুষ। অবিলম্বে শৌচাগার, ইন্দিরা আবাস, বন্যার ক্ষতিপূরণ বাবদ পাওয়া টাকা থেকে নেওয়া কাটমানি ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শৌচাগার পিছু ৯০০টাকা এবং ইন্দিরা আবাস যোজনার বাড়ি পিছু ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত অরুণবাবু ও তাঁর এক শাগরেদ নিয়েছেন। খবর পেয়ে বাঁকুড়া থানার পুলিস ওই তৃণমূল নেতাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে আনে। তারপর থেকেই এলাকার মানুষ কাটমানির টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার চাপ দিতে থাকেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের চাপে পড়ে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য নেওয়া টাকা শেষমেশ ফিরিয়ে দেবেন বলে এলাকার মানুষকে আশ্বস্ত করেন ওই তৃণমূল নেতা। এরপরই শৌচাগার নির্মাণ করার জন্য অরুণবাবুর শাগরেদ ভজহরি গড়াই ৯০টি পরিবারের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলে তালিকা তৈরি করে দেন। অন্যদিকে, ২৫জন বাড়ি প্রাপকের কাছ থেকে অরুণবাবু নিজে কাটমানি নিয়েছিলেন বলে স্বীকার করে টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিছুদিন আগেই শৌচাগারের জন্য নেওয়া ৬০টি পরিবারকে ভজহরিবাবু ৯০০টাকা করে ফেরত দিয়েছিলেন। এদিন সকালে অরুণবাবু ১৩টি পরিবারকে বাড়ি তৈরির সময়ে নেওয়া টাকা ফিরিয়ে দেন।
অন্যদিকে, এদিন বাঁকুড়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের লালবাজার বাগদি পাড়ায় কাটমানি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে পোস্টার দেয় সিপিএম। এছাড়াও কাটমানি ফেরত দেওয়ার দাবিতে রবিবার বিকেলে বড়জোড়া শহরে প্রতিবাদ মিছিল করে চৌমাথায় পথসভা করে বিজেপি। এদিনের মিছিল ও পথসভায় নেতৃত্ব দেন বিষ্ণুপুরের সংসদ সদস্য সৌমিত্র খাঁর স্ত্রী সুজাতা খাঁ। তিনি ছাড়াও বিজেপি নেতা অমর শাখা ও সুজিত অগস্থি সহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সুজাতাদেবীর দাবি, এদিন তৃণমূল ও সিপিএম থেকে প্রায় ৩০০জন আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।