সংবাদদাতা, চোপড়া: চোপড়ার ঘিরনিগাঁওয়ে সীমান্তের রাস্তার একাংশের অসমাপ্ত কাজের ব্যাপারে বিএসএফ ও স্থানীয় প্রশাসনের জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে জমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে জোরকদমে। স্থানীয়দের একাংশ এরই মধ্যে জমি সরকারকে দিয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, মাফিগছ থেকে গোয়ালগছ পর্যন্ত প্রায় হাজার মিটার রাস্তার কাজ বাকি রয়েছে। ওই অংশে পূর্তদপ্তরের রাস্তা ব্যবহার করছেন বিএসএফ। চোপড়া ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় অসমাপ্ত সীমান্তের রাস্তার কাজ শীঘ্রই শুরু হওয়ার পথে। জমি চিহ্নিতকরণের কাজ শেষ হয়েছে। রাস্তা নিয়ে বাসিন্দাদের একাংশ ইতিমধ্যে জমি দিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা মাজহারুল ইসলাম বলেন, শুরু থেকে এখানে পূর্তদপ্তরের রাস্তা ব্যবহার হচ্ছিল। সেকারণে বিএসএফ এই অংশের একাংশে সীমান্তের রাস্তা করেনি। পরবর্তীতে পূর্তদপ্তরের রাস্তাতেই কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নিলে গ্রামবাসীরা আপত্তি জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। শেষ পর্যন্ত সীমান্তের দেড়শো মিটারের মধ্যে রাস্তার কাজ করার ব্যাপারে জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে।
চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি ফজলুল হক বলেন, এখানে রাস্তার জন্য ইতিমধ্যে জমি চিহ্নিত হয়েছে। স্থানীয়রা জমি দিতে রাজি হয়েছেন। শীঘ্রই কাজ শুরু হয়ে যাবে।
চোপড়া ব্লকের লক্ষ্মীপুর, দাসপাড়া, মাঝিয়ালি ও হাপতিয়াগছ এলাকায় সীমান্তের রাস্তা ও কাঁটাতার রয়েছে। এর মধ্যে শুধু ঘিরনিগাঁও এলাকায় রাস্তার কিছুটা কাজ বাকি রয়েছে। অন্যদিকে হাপতিয়াগছ সংলগ্ন এলাকায় নদীর অংশে রাস্তা হয়নি। ওই দুই এলাকায় বিএসএফের কড়া নজরদারি রয়েছে।