একাধিক সূত্র থেকে আয় ও সঞ্চয় বৃদ্ধির যোগ। কাজকর্মে উন্নতি হবে। মানসিক চঞ্চলতা ও ভুল ... বিশদ
পুলিসি তদন্ত যতই এগচ্ছে ততই একাংশ পুরকর্মীর যোগসূত্র প্রকাশ্যে আসছে। ইতিমধ্যেই পুরসভার পূর্ত বিভাগের গ্রুপ-ডি কর্মচারী উত্তম চক্রবর্তী ও পুরসভার নথিভুক্ত ইঞ্জিনিয়ার অর্কপ্রভ দাশগুপ্ত গ্রেপ্তার হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে পুরসভার এক শীর্ষ অফিসারকে। চারজন কর্মচারীকে পূর্ত বিভাগ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুরসভার একই বিভাগের দুই কর্মী এবং নথিভুক্ত এক ইঞ্জিনিয়ার দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তারের পরে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে।
অফিসের অন্দরেই এই দুর্নীতির নাগাল পেতে কেন এতদিন সময় লাগল? দায়িত্বপ্রাপ্ত পুর কর্মকর্তারা এসব কি জানতেন না? এসব প্রশ্নই উঁকি মারছে। যদিও পুরকর্তৃপক্ষের দাবি, বিষয়টি জানার পর উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের নজরে আনা হয়। তাঁর নির্দেশেই এফআইআর করা হলে পুলিসি তদন্ত শুরু হয়। পুরভবনের পূর্ত বিভাগ ঘুঘুরবাসা বলেছেন কমবেশি সকলেই।
প্ল্যান পাশ করানোর জন্য নিয়ম মেনে পুরসভার কাছে আবেদন করেছিলেন এক নাগরিক। টাকা জমা দিয়ে তিনি রসিদও হাতে পান। পরবর্তীতে দেখা যায় ওই টাকা জমা পড়েনি পুর কোষাগারে। ২০২১ সালের ঘটনা ২০২৪ সালে প্রকাশ্যে আসে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পুরসভার কর্মচারী উত্তম চক্রবর্তীর নামে দিনহাটা থানায় মামলা করে পুরসভা। পদত্যাগ করেন চেয়্যারম্যান গৌরীশঙ্কর মাহেশ্বরী। তবে পুলিসি তদন্তে পুরকর্মীদের যোগসূত্র প্রকাশ্যে আসছে।
এদিকে, উত্তম চক্রবর্তীর ১৩ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য পান তদন্তকারী অফিসাররা। সেই তথ্য অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয় পুরসভার নথিভুক্ত ইঞ্জিনিয়ার অর্কপ্রভ দাশগুপ্ত ও ওভারসিয়ার হরি বর্মনকে। বিল্ডিংয়ের ভুয়ো প্ল্যান পাশে ওভারসিয়ারের সই ছিল।
দিনহাটা মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী নীহাররঞ্জন গুপ্ত বলেন, প্ল্যান পাশ ও রসিদ কাণ্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত দু’জনকেই এদিন আদালতে তোলা হলে বিচারক আটদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে,ভারপ্রাপ্ত পুর চেয়ারম্যান সাবির সাহা চৌধুরী বলেন, বিষয়টি নজরে আসতেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রীকে জানানো হয়েছিল। মন্ত্রীর নির্দেশেই এফআইআর করা হয়েছিল। পুলিস ঘটনার তদন্ত করছে। যারা ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে প্রমাণিত হবে, তাদের কাউকেই রেয়াত করা হবে না। - নিজস্ব চিত্র।