বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
পুলিসের দাবি, পথ দুর্ঘটনা রুখতে গতবছর নতুন করে ৭টি জায়গায় ট্রাফিক সিগন্যাল বসানো হয়েছে। স্প্রিং পোস্ট হয়েছে একহাজার। ২৫৩ জায়গায় বসানো হয়েছে স্পিড ব্রেকার। জাতীয় সড়ক ও এশিয়ান হাইওয়ে মিলিয়ে ৭টি জায়গায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। নতুন করে ট্রাফিক বুথ হয়েছে ১৪টি। তারপরও দুর্ঘটনার সংখ্যা না কমায় এদিন ক্যালেন্ডার প্রকাশের পর পুলিসের রিপোর্ট কার্ড তুলে ধরে নতুন বছরে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেন এসপি।
তবে জেলায় অপরাধের সংখ্যা কমায় খানিকটা স্বস্তিতে পুলিসকর্তারা। ২০২৩ সালে জেলায় সবমিলিয়ে ৪৬৩৬টি মামলা দায়ের হয়। ২০২৪ সালে দায়ের হয়েছে ৪১১১টি মামলা। সার্বিকভাবে সংখ্যাটা কমার পাশাপাশি বড় ধরনের অপরাধও কমেছে। ২০২৩ সালে জেলায় খুনের ঘটনা ঘটে ৪৩টি। গতবছরে সেই সংখ্যা ছিল ৩৩টি। কমেছে চুরিও। ২০২৩ সালে ৩৩৯টি চুরির মামলা দায়ের হলেও গতবছর জমা পড়েছে ২১৬টি। একটিও ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি ২০২৪ সালে।
তবে জেলায় যে সাইবার ক্রাইম বাড়ছে তা স্বীকার করে নিয়েছেন এসপি। গতবছর ১২টি মামলা ও ১২টি ডায়েরি হয়েছে সাইবার ক্রাইম নিয়ে। যার প্রেক্ষিতে পুলিস প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে। সাইবার ক্রাইম রুখতে জলপাইগুড়ি পুলিসের তরফে নিয়মিত সচেতন করা হচ্ছে নাগরিকদের। এদিন পুলিস সুপার বলেন, পথ দুর্ঘটনার পাশাপাশি নতুন বছরে আমরা সাইবার ক্রাইম কমানোরও টার্গেট নিয়েছি।
গত একবছরে মাদক সংক্রান্ত ২৪টি মামলা দায়ের হয়েছে। তার ভিত্তিতে ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। এছাড়া সারাবছর অভিযান চালিয়ে জেলা পুলিস মাদক উদ্ধার করেছে প্রায় ২ কোটি ৬৯ লক্ষ টাকার। নদী থেকে অবৈধভাবে বালি-পাথর তোলার ঘটনায় ২৩৭টি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে ১৪৫ জন। বাজেয়াপ্ত হয়েছে ২৪৮টি গাড়ি। গবাদিপশু পাচারের ৩১টি মামলায় ৪৩টি গাড়ি আটক করার পাশাপাশি সারাবছরে ৪৫৭টি গোরু উদ্ধার করেছে পুলিস। উদ্ধার হয়েছে ছ’টি আগ্নেয়াস্ত্র। অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে আটজন।