বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
বাগডোগরা থেকে পানিঘাটাগামী রাজ্যসড়ক দিয়ে ১১কিমি এগিয়ে গেলে ওর্ড চা বাগান ও বলাসন নদীর পাশে এমএমতরাই গ্রাম। স্থানীয়দের অভিযোগ, বছর চারেক ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ওই কেন্দ্রের টিনের চাল নষ্ট হতে বসেছে। সামান্য বৃষ্টিতে শ্রেণিকক্ষে জল চুয়ে পড়ছে। এজন্য কেন্দ্র পরিচালনা করতে সমস্যায় পড়ছেন শিক্ষিকারা। সীমানা প্রাচীর না থাকায় কেন্দ্রটি অসামাজিক কাজকর্মের আস্তানায় পরিণত হচ্ছে। পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকতে থাকা এসএসকে-তে সন্তানদের আর সেভাবে পাঠাচ্ছেন না অভিভাবকদের একাংশ। নুন-ভাত খেয়ে হলেও বেসরকারি স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করতে হচ্ছে তাঁদের। ফলে, এলাকায় সরকারি প্রতিষ্ঠান থাকার উদ্দেশ্যে এবং এর সাফল্য স্থানীয়দের প্রশ্নের মুখে।
এই গ্রাম থেকেই গত বছর ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করে আইএএস আধিকারিক হয়েছেন অজয় মোক্তান। তিনি সর্বভারতীয় পরীক্ষায় ৪৯৪ র্যাঙ্ক পেয়েছিলেন। তাঁর গ্রামের শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের এই বেহাল অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা সুরজ সুব্বা। তিনি বলেন, এলাকার এক মেধাবী সর্ব ভারতীয় পরীক্ষায় নজড়কাড়া ফলাফল করে আজ আইএএস। অথচ তাঁর গ্রামের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে খোঁজ নেয় না প্রশাসন। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের টিআইসি বাসন্তি গুরং। তিনি বলেন, ৪ বছর ধরে কেন্দ্রটি বেহাল। টিনের ছাদ থেকে জল চুয়ে পড়ছে। শৌচাগারের অবস্থাও বেহাল। এই কেন্দ্রটিতে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছে। আমরা দু’জন শিক্ষিকা রয়েছি। মাত্র পাঁচজন পড়ুয়া থাকায় ব্লক প্রশাসন কেন্দ্র মেরামতে উদ্যোগ নিতে চায় না। তাঁরা পড়ুয়াদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে বলেছেন। তারপরই নাকি ফান্ড বরাদ্দ হবে। যদিও এই কেন্দ্রটিতেই এলাকার ভোট কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়। অথচ কোনও গুরুত্ব দিতে চায় না প্রশাসন।
এনিয়ে নকশালবাড়ি বিডিও প্রণব চট্টরাজকে একাধিকবার ফোন ও মেসেজ করা হলেও তিনি উত্তর দেননি। শিলিগুড়ি মহকুমা শাসক অবধ সিংহল বলেন, এনিয়ে কেউ কোনও অভিযোগ জানায়নি। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।
(এমএমতরাই শিশুশিক্ষা কেন্দ্র। - নিজস্ব চিত্র।)