বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
প্রায় তিনবছর আগে ক্ষমতা দখল করে শিলিগুড়ি পুরসভার ভোলবদল করেন মেয়র গৌতম দেব। পুরনো পুর ভবনের অধিকাংশ ঘর ভেঙে সংস্কার করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ফল্স সিলিং লাগানোর পাশাপাশি আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কর্পোরেট সংস্থার ধাঁচে সাজানো হয়েছে পুরসভার নতুন ভবন। তাতে কাচের ঘর, মেঝেতে আলপনা, বাহারি গাছ ও লিফ্ট রয়েছে। দু’টি ভবনেই বাজছে রবীন্দ্রসঙ্গীত। সেই আদলে মহকুমা পরিষদের পাঁচতলা ভবনও সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে মহকুমা পরিষদ ভবনের নীচতলার একাংশ ভাঙা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, ভবনের নীচতলায় একটি ভিডিও কনফারেন্স রুম কাম ১০-১২টি আসন বিশিষ্ট মিটিং হল হবে। পাঁচতলায় হবে ১০০ আসন বিশিষ্ট মিটিং হল। সেটির পাশেই থাকবে ছোট আর একটি মিটিং হল। যা ৩০ আসন বিশিষ্ট। প্রতিটি তলায় বাহারি গাছের টব, এলইডি লাইট থাকবে। বসানো হবে সাউন্ড সিস্টেম। তাতে সর্বক্ষণ বাজবে রবীন্দ্রসঙ্গীত। প্রতিটি তলাতেই সাক্ষাৎপ্রার্থীদের বসার জায়গা থাকবে। সর্বসাধারণের জন্য বসানো হবে লিফ্ট।
মহকুমা পরিষদের এক আধিকারিক বলেন, অনেক আগেই ভবনের নীচতলার একাংশ একটি ব্যাঙ্ককে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আরও কিছুটা জায়গা চেয়েছে। তাদের তা দেওয়া হবে। এজন্য নীচতলায় কিছু ঘর ইতিমধ্যে ভাঙা হয়েছে। এতে মহকুমা পরিষদের আয় কিছুটা বাড়বে। এর বাইরে উদ্যানপালন সহ বিভিন্ন দপ্তরের রুম সংস্কার করা হচ্ছে। অত্যাধুনিক মিটিং হল, ভিডিও কনফারেন্স রুম তৈরির কাজও শুরু হয়েছে।
১৯৮৯ সালে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ চালু হয়েছে। ওই সময়ই এই ভবন তৈরি হয়েছে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ভবনের একাংশ বেহাল হয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ। মহকুমা পরিষদের ক্ষমতা দখল করে ভবনের ভোলবদলের কথা ঘোষণা করেছিলেন সভাধিপতি। এরপর ভবনের রং বদল করা হয়। লাল রং পাল্টে করা হয় নীল-সাদা। কর্মাধ্যক্ষদের রুম, আধিকারিকদের ঘর এবং বাথরুম সংস্কার হয়েছে।
- নিজস্ব চিত্র।