বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
করোনার সময় দুঃস্থ ও মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা মাথায় রেখে চোখের আলো প্রকল্প চালু করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালেও এই পরিষেবা শুরু হয়। প্রথমদিকে প্রচারের অভাবে রোগীর সংখ্যা কম হলেও ধীরে ধীরে এই প্রকল্প জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চাঁচলে। মহকুমার রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুর সহ ছ’টি ব্লকের মানুষ এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছেন। প্রতিমাসে শয়ে শয়ে মানুষ পরিসেবা নিচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক বছরে দেড় হাজার রোগীর বিনামূল্যে চোখের অপারেশন হয়েছে। তার মধ্যে ৭৫ জন কমবয়সী রোগীও ছিলেন। মুলত এই প্রকল্পে রোগীদের দেখভালের দায়িত্ব চিকিত্সক প্রবীর দেবনাথ, সোমশুভ্র দত্ত ও অমিতেন্দু সাহার কাঁধে। চোখের আলো প্রকল্পের মাধ্যমে টেরিজিয়াম, নেত্রনালি, মাইক্রো, ফেকো ও ছানি অপারেশন করা হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। এই প্রকল্প চালু হওয়ার আগে চোখ সংক্রান্ত জটিল সমস্যা হলে এলাকার বেশিরভাগ মানুষ ছুটতেন নেপালে। অনেকে চেন্নাই বা হায়দরাবাদেও যেতেন। এতে শুধু সময় নয়, প্রচুর বাড়তি খরচ হত। রাজ্য সরকার এই প্রকল্প চালু হওয়ায় সাধারণ মানুষ অনেকটা স্বস্তি পেয়েছেন।
রতুয়ার শেখ সামসুদ্দিন বলেন, বার্ধক্যজনিত কারণে বাবার চোখে ছানি পড়েছিল। দিনমজুরি করে সংসার চালাই। বাইরে গিয়ে খরচ করে চিকিৎসা করার সামর্থ্য ছিল না আমাদের। চাঁচল হাসপাতালে বাবার বিনামূল্যে অপারেশন করিয়েছি। তিনি এখন সুস্থ।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপার মহম্মদ সামিম বলেন, প্রকল্পের শুরুর দিকে রোগীর সংখ্যা অনেক কম ছিল। এখন এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় চোখের আলো প্রকল্প। ২০২৪ সালে প্রায় দেড় হাজার রোগীর চোখের সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। - ফাইল চিত্র