বিমা প্রভূতক্ষেত্র থেকে অর্থাগম যোগ। গৃহ সংস্কার বা ক্রয়ের প্রয়োজনীয় অর্থ পেয়ে যেতে পারেন। শরীরের ... বিশদ
হাই মাদ্রাসা সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গারামপুর ব্লকের বিকইর মৌজায় হরিপুর হাই মাদ্রাসার নামে ৩.২০ শতক জমি রয়েছে। সেই জমি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন এমদাদউদ্দিন আহমেদ। তাঁর মৃত্যু হওয়ায় পুত্ররা জমির দেখভাল করতেন। হাই মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জমির আয় সংগ্রহ করত বছরে একবার। গত নভেম্বর মাসে জমির বার্ষিক আয় নিতে এমদাদউদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। তখন পরিচালন সমিতি জানতে পারে মাদ্রাসার নামে থাকা জমি বিক্রি করা হয়েছে দুই ব্যক্তির কাছে। এমন ঘটনা সামনে আসতেই অবাক মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
গঙ্গারামপুর ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে খবর, প্রথমে মাদ্রাসার জমি এমদাদউদ্দিনের উত্তরাধিকারীর নামে রেকর্ড করা হয়। তারপর সেই ৩.২০ শতক জমি বিক্রি করা হয়েছে। কীভাবে সরকারি পোষিত একটি সংস্থার জমি বিক্রি ও রেকর্ড হয়ে গেল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জমি উদ্ধারের জন্য গঙ্গারামপুর থানা, গঙ্গারামপুর ভূমি সংস্কার দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
বংশীহারি হাই মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেন বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে অন্ধকারে রেখে এই কাজ করা হয়েছে। আমাদের মাদ্রাসার জায়গার সমস্ত কাগজ রয়েছে। এক ব্যক্তিকে জমি দেখভাল করতে দিয়েছিলাম। তিনি বংশীহারির বাসিন্দা। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর উত্তরাধিকারীরা গঙ্গারামপুর নন্দনপুর গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জাল ওয়ারিশ সার্টিফিকেট বের করে জমি রেকর্ড করে ও বিক্রি করে দিয়েছে। জালিয়াতির বিষয় সামনে আসতেই আমরা জেলা প্রশাসন, সংখ্যালঘু দপ্তর, ভূমি সংস্কার দপ্তরের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে মুখ্যমন্ত্রীকে বিষয়টি জানাব।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) হারিস রশিদ বলেন, সরকারি জায়গা এভাবে কোনও ব্যক্তির নামে রায়ত করা যায় না। অভিযোগের বিষয়টি জানা নেই। এমন ঘটনা ঘটলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গঙ্গারামপুর ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিক গোপাল বিশ্বাসের কথায়, বংশীহারি হরিপুর হাই মাদ্রাসার জমি বিক্রি হয়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ দপ্তরে আসে। আমরা পুরনো রেকর্ড ঘেঁটে দেখি ম্যানুয়াল রেকর্ডে মাদ্রাসার নামে জমি ছিল। কিন্তু যখন আমাদের পুরো সিস্টেম ডিজিটাইজড হয়, মোতওয়াল্লির নামে জমি রেকর্ড হয়ে যায়। সেটা কীভাবে হয়েছে তদন্ত করে দেখা হবে। আমরা নির্দিষ্ট আইন অনুযায়ী আবেদন করতে বলেছি কর্তৃপক্ষকে।
এমদাদউদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিম বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ওই জমি তাদের বলে দাবি করছে। সেটা ঠিক নয়। আমাদের রায়ত জমিই বিক্রি করেছি।