মাতুলের থেকে বিত্তলাভ হতে পারে। কোনও বিষয়ের মানসিক উদ্বেগ কমবে। বিদ্যাচর্চায় বিশেষ শুভ। ... বিশদ
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তার কাছে যাওয়া হয়েছিল। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। শুধু এমপি নয়, যাতে তাঁদের দাবি পূরণ হয় তারজন্য মঞ্চ বানিয়ে শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র ও মহকুমা পরিষদের দ্বারস্থ হয়েছে মাটিগাড়ার মানুষ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হওয়ারও প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের নকশা অনুযায়ী বালাসন সেতু থেকে খাপরাইল মোড় হয়ে মাটিগাড়া বাইপাসের কাছে চামটা রেল সেতু পর্যন্ত ব্লক ফ্লাইওভার নির্মাণই চূড়ান্ত রয়েছে। নকশা অনুযায়ী সড়ক কর্তৃপক্ষ কাজও শুরু করে দিয়েছে। এখন বালাসন সেতুর সামনে থেকে ব্লক পাতার কাজ চলছে। স্থানীয় মানুষের চলাচলে যাতে অসুবিধা না হয় তারজন্য ব্লক ফ্লাইওভারে খাপরাইল মোড়ে আন্ডারপাস তৈরি করা হবে যা নকশায় রয়েছে। এছাড়াও দার্জিলিং মোড় পর্যন্ত আরও দু’টি জায়গায় এমন আন্ডারপাস থাকবে। গ্রামবাসীরা আন্দোলনে নামার পরও সড়ক কর্তৃপক্ষ নিজেদের সিদ্ধান্ত অনড়। যদিও আজ, মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়রের চেম্বারে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ এবং এশিয়ান হাইওয়ে কর্তৃপক্ষকে ডাকা হয়েছে বলে মহাসড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে। এশিয়ান হাইওয়ের অ্যাসিস্টান্ট ইঞ্জিনিয়ার দীপকুমার সাহা জানিয়েছেন, উপর মহলের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ চলছে।
এদিকে ব্লক ফ্লাইওভারের বিরোধিতায় স্থানীয় বাসিন্দারা গত ১০ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। মাটিগাড়া এবং পাথরঘাটার প্রায় চার লক্ষ মানুষের দাবি ব্লক ফ্লাইওভার কোনওমতে তারা বরদাস্ত করবে না। সড়ক কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের কাজ শুরুর আগে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সেভাবে কাজ করছে না বলে আন্দোলনকারীদের অভিযোগ। তাঁরা বলেন, প্রকল্প শুরুর আগে সড়ক কর্তৃপক্ষ মাটিগাড়ার জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দাদের ভিডিওতে দেখিয়েছিল এলাকায় উঁচু পিলার বানিয়ে মাথার উপর দিয়ে ফ্লাইওভার নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু কাজ শুরুর পর দেখা যাচ্ছে ব্লক বসিয়ে মাটি ভরাট করে কাজ চলছে। এতে মাটিগাড়া কার্যত দু’ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। এরই প্রতিবাদে মাটিগাড়া ব্যবসায়ী সমিতি ও নাগরিক মঞ্চ নামে একটি প্রতিবাদী মঞ্চ গঠন করে আন্দোলন শুরু হয়েছে।
মঞ্চের অন্যতম কর্মকর্তা বিজন সাহা বলেন, আমরা এমপি ও এমএলএ’র দ্বারস্থ হয়ে কোনও আশার আলো দেখতে পারছি না। মেয়রের দ্বারস্থ হয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও যাব। যেমন করেই হোক মাটিগাড়ার ক্ষতি হতে দেব না।