মাতুলের থেকে বিত্তলাভ হতে পারে। কোনও বিষয়ের মানসিক উদ্বেগ কমবে। বিদ্যাচর্চায় বিশেষ শুভ। ... বিশদ
কিন্তু শঙ্করবাবুর এই ঘোষণার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখতে পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল। তাদের বক্তব্য, বিধায়ক যদি সত্যিই শিলিগুড়ি শহরে বহুতল পার্কিং জোন তৈরির জন্য তাঁর এলাকার উন্নয়ন তহবিলের টাকা দিতে চান তাহলে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে কেন মেয়রের কাছে তিনি এই প্রস্তাব রাখছেন। তিনি যদি সত্যিই এই ব্যাপারে আন্তরিক হন তাহলে সরাসরি মেয়রের সঙ্গে দেখা করে তাঁর এই প্রস্তাব দিতে পারতেন। সেটা না করে এভাবে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে মেয়রকে এই প্রস্তাব দেওয়ার পিছনে বিজেপি বিধায়কের রাজনৈতিক অভিসন্ধির দিকটিই সামনে আসছে।
শিলিগুড়ির ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার বলেন, জার্সি বদল করে এখন বিজেপিতে গেলেও শিলিগুড়ি শহরের উন্নয়নের দায়িত্বে একসময় ছিলেন বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। দীর্ঘদিনের অবহেলা, অদূরদর্শিতার কারণে আজকের শিলিগুড়ি শহরের যত সমস্যা রয়েছে তার দায় শঙ্করবাবুকে নিতে হবে। কেননা এক সময় তিনি সিপিএম পরিচালিত শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পরিষদ সদস্য ছিলেন। তখন কেন এই উদ্যোগ নেননি। এই বিষয়টি আগে তাঁকে পরিষ্কার করতে হবে। তাই আজ এভাবে টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করে নিজেকে মহান সাজানোর নাটক শহরবাসী মেনে নেবেন না। কাজেই শিলিগুড়ির উন্নয়নের জন্য এভাবে তাঁর আন্তরিকতা প্রকাশ করাটা বুমেরাং হয়ে যাবে। এভাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে নয়, তাঁর যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে তিনি পুরসভাকে লিখিতভাবে তাঁর প্রস্তাব পাঠান। আমরা বিবেচনা করে দেখব। নিজস্ব চিত্র।