সৃজনশীল কর্মে উন্নতি ও প্রশংসালাভ। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় যোগ। আধ্যাত্মিক ভাবের বৃদ্ধি ও আত্মিক তৃপ্তি। ... বিশদ
শনিবার সকালের এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বাস চালকেরা ওই রুটে ৪০টির বেশি বাস লাইন করে দাঁড় করিয়ে রাখেন। এছাড়াও ওই রুটে ৮০টি বাস বন্ধ করে রাখা হয়।
এই ঘটনায় জেলার যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। তাঁরা বাস থেকে নেমে হেঁটে স্থানীয় স্ট্যান্ডে যান। সেখান থেকে অন্য যানবাহন করে গন্তব্যে পৌঁছন। বাসকর্মীদের অভিযোগ, রাস্তার মাঝে দু’টি টোটো দাঁড় করিয়ে যাত্রী তুলছিল এবং নামাচ্ছিল। একাধিক বার হর্ন দিলেও সাইড দেয়নি। উল্টে বাসের কর্মীদের গালিগালাজ করে টোটো চালকরা। প্রতিবাদ করলে স্থানীয় বাগানে নিয়ে গিয়ে তাঁদের লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। পাল্টা টোটো চালকদের বক্তব্য, বাসটি দ্রুতগতিতে চলছিল। অল্পের জন্য তাঁরা প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। বাসের কর্মীদের বললে কথা কাটাকাটি হয়। তারপর রড দিয়ে মাথায় আঘাত করায় দু’জন টোটো চালক জখম হয়েছেন। বাসের কন্ডাক্টর মিঠুন দাস বলেন, বারবার হর্ন দেওয়ার পরও রাস্তা থেকে সরছিল না টোটো। নেমে প্রতিবাদ করলে আমাদের মারধর করে টোটো চালক?
মালদহ বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক অভিজিৎ রায় বলেন, বারবার বলেছি জেলার বিভিন্ন রুটে টোটোর দৌরাত্ম্য বাড়ছে। কর্মীরা বাস চালাতে পারছেন না। হর্ন দেওয়ার জন্য এমন পরিস্থিতি হওয়ায় ওই রুটে ৮০টি বেশি বাস কর্মীরা বন্ধ রেখেছেন। মালিকেরা সেই সিদ্ধান্ত নেননি।
অন্যদিকে, আইএনটিটিইউসি জেলা সম্পাদক সুশান্ত তলাপাত্র এবং সভাপতি বিদ্যুৎ বসাক বলেন, আপাতত গাড়ি বন্ধ রয়েছে। কর্মীরা আতঙ্কে বাস চালাতে চাইছেন না। সংগঠনের কোনও বিষয় নেই। বাস মালিকেরা গাড়ি চালাতে ভয় পাচ্ছেন। যৌথভাবে থানার দ্বারস্থ হব।
এদিন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন টোটো চালকের মা চামেলি চৌধুরী। তিনি বলেন, পিছনে দ্রুতগতিতে বাস চলে আসে। অল্পের জন্য ছেলে বেঁচে গিয়েছে। প্রতিবাদ করতেই বাসের কর্মীরা ছেলের মাথায় আঘাত করে। তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মালদহ থানার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, অভিযোগ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। রাস্তায় দাঁড়ানো বাস সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।