পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
অভিশপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের জখম যাত্রীদের মধ্যে ওই দৃষ্টিহীন শিল্পী একজন। ত্রিপুরার বেলনিয়া জেলার গাবতলিতে তাঁর বাড়ি। তিনি ত্রিপুরার অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দপ্তরের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। তিনি ‘কিবোর্ড’ বাদ্যযন্ত্র বাদক। তিনি বলেন, ১৮ জুন মুম্বইয়ের আশা অডিওতে কিবোর্ড বাজানোর কথা ছিল। এজন্য ত্রিপুরা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে চাপি। ১৭ জুন কলকাতা থেকে বিমানে মুম্বই যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে সেই স্বপ্ন অধরাই রইল। দিল্লিতেও বাদ্যযন্ত্র বাজানোর অনুষ্ঠানে যেতে পারলাম না।
সোমবার সকালে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন অনুপ। তিনি হাতে, পায়ে ও মাথায় চোট পান। কিছুটা সুস্থ হওয়ায় বৃহস্পতিবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমার অন্যতম সঙ্গী বাদ্যযন্ত্র কিবোর্ড। ছোট থেকেই এই যন্ত্র বাজাই। নিজের রাজ্য সহ মুম্বইতে এর আগেও এই যন্ত্র বাজিয়েছি। তবে এবারের অনুষ্ঠান ছিল আমার জীবনের অন্যতম স্বপ্ন। ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে যা পূরণ হল না। এতে কিছুটা খারপ লাগলেও ভগবানের কৃপায় প্রাণে বেঁচেছি। এখন বাড়ি ফিরে যাব।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার প্রশংসা করেছেন দৃষ্টিহীন এই শিল্পী। টানা চার দিন ধরে তাঁর চিকিৎসা করা হয়। শুধু তাই নয়, তাঁর ত্রিপুরা ফেরার ব্যবস্থাও করেছে বাংলার সরকার। মাটিগাড়া বিডিও অফিস থেকেই তাঁর ট্রেনের টিকিট করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্থানীয় সরকারের ভূমিকা প্রশংসনীয়। তাঁরা আমাকে সবরকমভাবে সহযোগিতা করেছেন।
অনুপকে নিতে এদিন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন তাঁর আত্মীয়রা। কয়েক মাস আগেই অনুপের বিয়ে হয়। তাঁর স্ত্রীও দৃষ্টিহীন। এদিন অনুপের আত্মীয়ের সঙ্গে ছিলেন বিজেপি শাসিত ত্রিপুরা সরকারের প্রতিনিধি তপন গিরি। তিনি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের প্রোটোকল অফিসার। তিনি কলকতায় ত্রিপুরা ভবনে কর্মরত। তিনি বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার ত্রিপুরার দু’জন জখম হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা থেকে বাড়ি ফেরা সব ব্যবস্থাই বাংলার সরকার করেছে। আমাদের কোনও খরচ হয়নি। বাংলার সরকারের ভূমিকায় আমরা খুশি।