পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
গত বছর পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে টিকিট না পেয়ে বিজেপি যোগদান করেন মানস ঘোষ। তখন তাঁকে পঞ্চায়েত সমিতির টিকিট দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিজেপির একাংশ। প্রতিবাদ জানিয়ে দলের জেলা কার্যালয়ের সামনে অনশনেও বসেন তৎকালীন জেলা সহ সভাপতি বীণা ঝা। বছর ঘুরতেই সেই দলবদলু মানসকে বিধানসভা উপ নির্বাচনের টিকিট দিয়েছে বিজেপি। যা নিয়ে বিদ্রোহের আঁচ বেড়েই চলেছে। প্রকাশ্যেই দলের সমালোচনা করছেন প্রবীণ বিজেপি নেতা, কর্মীরা। মুখ খোলেন প্রাক্তন জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে পুরনো বিজেপি কর্মীরাও। আরএসএসও যে বিষয়টি ভালো ভাবে নেয়নি, বৃহস্পতিবার তা স্পষ্ট করে দেন জেলার এক স্বয়ংসেবক।
এদিকে দলীয় প্রতীক ছাড়াই বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটের পর মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন বিজেপি প্রার্থী। একজন প্রার্থী মোট তিনটে মনোনয়ন পত্র দাখিল করতে পারেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন মানস ঘোষ একটি মনোনয়ন পত্রই দাখিল করেছেন। যদিও তিনি তাঁর মনোনয়নের সঙ্গে দলীয় প্রতীক সম্বলিত ফর্ম ‘এ’ এবং ফর্ম ‘বি’ জমা দেননি। তিনি আগামীকাল ওই দু’টি ফর্ম সহ আরেকটি মনোনয়ন পত্র দাখিল করবেন জানিয়েছেন।
এদিকে ‘নর্থবেঙ্গল পিপলস পার্টি’র ব্যানারে মনোনয়ন দাখিল করতে চলেছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী বলরাম চক্রবর্তী। ইতিমধ্যেই তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন বিদ্রোহী বিজেপি নেতা তথা দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী, বীণা ঝা’র মতো প্রবীণ নেতৃত্ব।
বিশ্বজিৎ বলেন, কিছুদিন আগে তৃণমূল থেকে আসা এক দলবদলুকে আমাদের দল প্রার্থী করেছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তাই আমরা প্রবীণ এক কর্মীকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে সমর্থন করব। বীণা ঝা’র মন্তব্য, এক দলবদলুর হয়ে খেটে আমরা তৃণমূলের সুবিধা করে দিতে পারি না। কাজেই আমরা বলরাম চক্রবর্তীকেই সমর্থন করছি।
এদিন অবশ্য রায়গঞ্জ শহর থেকে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে ফিরে আসতে হয় বলরামকে। তিনি বলেন, কাগজপত্রে কিছু সমস্যা ছিল। সেসব ঠিকঠাক করে শুক্রবার সকালে মনোনয়ন দাখিল করব। মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী মানস ঘোষ। - নিজস্ব চিত্র।