পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
মাস কয়েক আগে পচাগড় পঞ্চায়েতের বাইশগুড়ির রংপিরটারি ভায়া বেলতলা হয়ে বড় কাউয়ারডারা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিমি রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। এজন্য প্রায় পৌনে দু’কোটি টাকা ব্যয় হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, রংপুরটারি হয়ে বড় কাউয়ারডারার যাওয়ার রাস্তার মাঝে বসানো কালভার্টের দু’দিকে মাটি নরম থাকা অবস্থায় পিচ দেওয়া হয়। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ওই জায়গার মাটি বসে গিয়েছে। ফেটে গিয়েছে পিচের আস্তরণ। যেকোনও সময় কালভার্টের মুখে রাস্তার ওই অংশ ভেঙে যাবে। একইসঙ্গে বেলতলার কাছে কোচবিহারগামী রাজ্য সড়কের মোড় থেকে রংপুরটারি যাওয়ার রাস্তার একাংশ ধসে গিয়েছে। যেভাবে টানা বৃষ্টি চলছে, তাতে রাস্তার ওই জায়গাটি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে যাবে। নতুন রাস্তার এই বেহাল দশায় বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। পঞ্চায়েতের তরফে আপৎকালীন ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগী লোকজন।
বাইশগুড়ির বাসিন্দা বিমল বর্মন, সমর সরকার বলেন, রাস্তাটি করার সময়ে আমরা পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ সহ নির্মাণকাজে আসা আধিকারিকদের একাধিকবার বলেছি, কয়েকটি জায়গায় মাটি দেওয়ার জন্য। রাস্তা তৈরির পর ফুটপাতের অংশে সঠিকভাবে মাটি না দেওয়ায় পিচের রাস্তাও ধসে যাচ্ছে। পথশ্রী প্রকল্পে নতুন রাস্তা হলেও জরুরি কাজে যাতায়াত করতে হচ্ছে ঘুরপথে।
পচাগড় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কল্যাণী রায় বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে পথশ্রী প্রকল্পে সাড়ে তিন কিমির পাকা রাস্তা তৈরি করা হয়। কিন্তু রাস্তাটি কয়েকদিনের বৃষ্টিতে ধসে গিয়েছে একাধিক জায়গায়। আমরা বিষয়টি জেলা পরিষদ সহ পথশ্রী প্রকল্প বিভাগকে জানাব। বরাতপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থা যাতে ফের রাস্তাটি সংস্কারের কাজ করে, সেদিকটি দেখার অনুরোধ করব। নিজস্ব চিত্র