পারিবারিক ক্ষেত্রে কলহের আশঙ্কা। ঠান্ডা মাথায় চলুন। বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী, সাহিত্যিকদের শুভ সময়। ... বিশদ
শনিবার সকাল সাড়ে দশ’টা নাগাদ পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের সহ সভাপতি ডা: সুশান্তকুমার রায় সহ অন্য সদস্যদের নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ঢোকেন। প্রতিটি ওয়ার্ড এবং ল্যাব ঘুরে দেখেন তিনি। রোগী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে সোজা চলে যান মেডিক্যাল কলেজের নির্মীয়মাণ ভবন পরিদর্শনে। বরাত পাওয়া সংস্থার কর্মীদের নিয়ে ছোট বৈঠক করেন। এরপর স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকার্তা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ভবনের কাজ শেষ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে ধাপে ধাপে কাজ শেষ করে ভবন হস্তান্তর করতে হবে। প্রথমে ছেলেদের হস্টেলের কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। তারপর মেয়েদের হস্টেল হবে। আগস্টের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার আশা রয়েছে।
অধিকর্তা মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব পরিদর্শনের পর মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন। কর্তৃপক্ষের তরফে খবর, অধ্যাপকদের অনেকেই সঠিকভাবে ক্লাস করাচ্ছেন না। অনেকে আবার ক্লাস নিলেও তা দায়সাড়াভাবে করাচ্ছেন। ফাঁকিবাজি ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে বায়োমেট্রিকে তাদের উপস্থিতিও দিচ্ছেন না। যেহেতু বায়োমেট্রিকের বিষয়টি সরাসরি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের সঙ্গে যুক্ত, সেই কারণে এটা নিয়ে আগামীতে সমস্যা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই সমস্যা মেটাতে এর আগে কলেজ পরিচালন কমিটির বৈঠকে বিভাগীয় প্রধানদের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতে যে খুব একটা কাজ হয়নি তা বোঝাই যাচ্ছে।
এদিন মেডিক্যালের অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে পৃথক বৈঠকের পর রাজ্য স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা বলেন, এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। অধ্যাপকদের বায়োমেট্রিক অ্যাটেনড্যান্স দিতেই হবে। না হলে পরে সমস্যা হতে পারে। তবে অধ্যাপকদের সংখ্যা কম। দ্রুত আরও অধ্যাপক আনা হবে। তবে এদিনের বৈঠক কতটা ফলপ্রসূ হল, সেটা দেখতে মাঝেমধ্যে এখানে আসব।