সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
উত্তর দিনাজপুর জেলার বিপর্যয় ব্যবস্থাপনার ওসি সৌমিতা পাল বলেন, ফ্লাড শেল্টারগুলির জন্য রাজ্য থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়। আমরা রিপোর্ট দেওয়ার পর যখন যেরকম অর্থ বরাদ্দ হয়, সেই অনুযায়ী কাজ চলে।
রাজ্যের বন্যাপ্রবণ জেলাগুলির মধ্যে উত্তর দিনাজপুর অন্যতম। নদীমাতৃক এই জেলায় অতীতে বেশ কয়েকবার বন্যা হয়েছে। জেলাবাসী ১৯৮৮ এবং ২০১৭ সালে ভয়াবহ বন্যা দেখেছেন। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকেই প্রশাসন দীর্ঘদিন আগে এই ফ্লাড শেল্টারগুলি তৈরি করেছিল।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার সদর ব্লক রায়গঞ্জ অন্যতম বন্যাপ্রবণ এলাকা। তাই এখানে ফ্লাড শেল্টারের সংখ্যা সবথেকে বেশি। ৬টি শেল্টার রয়েছে বাহিন, ভিটিয়া, অনন্তপুর, সরিয়াবাদ, গোয়ালদহ ও শিয়ালতোর এফপি স্কুলে। জেলায় দ্বিতীয় সর্বাধিক ৫টি ফ্লাড শেল্টার করণদিঘি ব্লকে। এরমধ্যে ডালখোলা শহরে পুরসভা ক্যাম্পাসে একটি ও বাকিগুলি রসাখোয়া -১ এবং -২, লাহুতারা -১ ও আলতাপুর -১ নম্বর অঞ্চলে একটি করে ফ্লাড শেল্টার আছে। জেলার আর এক বন্যাপ্রবণ ব্লক ইটাহারে একটি বনগ্রাম বিএস হাইস্কুলে এবং অপর শেল্টারটি রয়েছে চাকলায়। কালিয়াগঞ্জ ব্লকে একমাত্র বন্যাপ্রবণ গ্রাম পঞ্চায়েত রাধিকাপুরেই ৪ টি ফ্লাড শেল্টার।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্লাড শেল্টারগুলি সারা বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকে। বর্ষার নামার আগে সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। কিন্তু বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তর থেকে ফ্লাড শেল্টার মেরামতির জন্য সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। জেলা প্রশাসনের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ভার্চুয়াল বৈঠকে থেজেলার ফ্লাড শেল্টার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিপর্যয় ব্যবস্থাপনা দপ্তরের কাছে বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধির আর্জি জানানো হয়। দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা সেই সময় ৫ লক্ষ টাকার পরিকল্পনা তৈরি করেন। যা ওই বছরের ডিসেম্বরেই দপ্তরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই অর্থের অনুমোদন আসেনি বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ইটাহারের চাঁকলাঘাটে অবহেলিত ফ্লাড সেন্টার। - নিজস্ব চিত্র।