একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
বালুরঘাটের বিডিও সম্বল ঝা বলেন, বিনা অনুমতিতে তৈরি ওই সাঁকোতে আপাতত যান নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পুলিসকে বলা হয়েছে। এখন নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু রয়েছে। আগামী ৪ জুনের পর নির্বাচনী বিধি উঠে গেলে, ওই ঘাট নিয়ে বৈঠক করে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতি। সেখানে ফেরিঘাটের মাধ্যমে নৌকা চালানো হতে পারে।
স্থানীয় ডাকরা গ্রামের প্রেমলাল সূত্রধর ও গণেশ হোড় বলেন, ওই সেতু দিয়ে যাতায়াতের ঝুঁকি রয়েছে ঠিক। কিন্তু এই সেতুই আমাদের একমাত্র ভরসা। পুলিস প্রশাসনের তরফে সেতুতে যাতায়াত বন্ধ হলে একটু সমস্যাও হবে। তার পরিবর্তে ফেরিঘাট চালু করলে ভালো হবে। তবে এখানে স্থায়ীভাবে একটি ব্রিজের দাবি রয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সেই দাবি জানিয়ে আসছি। একটি ব্রিজ তৈরি করে দেওয়া হোক। বালুরঘাট শহরকে আত্রেয়ী নদী দু’ভাগে ভাগ করেছে। আত্রেয়ীর ওপারেই রয়েছে বহু গ্রাম। গ্রাম থেকে দেখা যায় শহর। অথচ যখন তখন যাওয়া যায় না। কারণ শহর ও গ্রামের সীমানা আত্রেয়ী নদী। তাই বর্ষা এলেই কালিকাপুর-রঘুনাথপুর ঘাট দিয়ে পারাপার বন্ধ হয় যায়। যার ফলে ওই রাস্তা দিয়ে শহরের সঙ্গে গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
বর্ষা এলেই বালুরঘাট শহরের ঢিল ছোড়া দূরত্বের কালিকাপুর, ডাকরা, ধাউল, ফুলঘড়া সহ বহু গ্রামের মানুষ সমস্যায় পড়ে। দীর্ঘদিন ধরেই আত্রেয়ীর উপরে কালিকাপুর-রঘুনাথপুরের সংযোগকারী ব্রিজের দাবি উঠছে। কিন্তু প্রতিশ্রুতির পরেও মেলেনি ব্রিজ। এদিকে গত মাসে সন্ধ্যায় প্রেমিক যুগলের সাঁকো থেকে পড়ে যাওয়ার ঘটনার পর থেকে আরও ফুঁসছেন গ্রামবাসীরা। ওই দিনই গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাঁশের ব্রিজে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেন। বর্তমানে ওই সাঁকো দিয়ে চলাচল একেবারেই বিপজ্জনক। তবে বাঁশের সাঁকো বন্ধ হলেও সমস্যায় পড়বে মানুষ। নিজস্ব চিত্র