একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
বালুরঘাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সৃজিত সাহা বলেন, জয়দীপের সাফল্য অভাবনীয়। সে প্রতিটি ছাত্রের জন্য অনুপ্রেরণা। এমনকী আমাদের মতো শিক্ষক এবং সমাজের অনুপ্রেরণা। ওরকম শারীরিক অবস্থা নিয়ে এত ভালো রেজাল্ট করেছে, তা সত্যিই ভালো। এথেকেই প্রমাণিত, কারও যদি নিষ্ঠা এবং একাগ্রতা ঠিক থাকে, তাহলে সাফল্য আসবেই। আমরা ওর পাশে ছিলাম, আগামীতেও থাকব। জয়দীপ পড়াশোনার পাশাপাশি ক্যুইজে খুব ভালো।
জয়দীপ বলেন, আমি উচ্চ মাধ্যমিকে ৪৮২ নম্বর পেয়েছি। আমার ভবিষ্যত লক্ষ্য ইউপিএসসি’র মতো কঠিন পথ অতিক্রম করে ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে জয়েন করা। ছোটবেলা থেকেই আমি আইএএস হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। আইএএস অফিসার হয়ে দেশের কাজ করতে চাই। আমি সুস্থ থাকলেও যেমন রেজাল্ট করতাম,অসুস্থ হয়েও তেমনই রেজাল্ট করেছি।
জয়দীপের বাবা অসিত কুমার সামন্ত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। তিনি বলেন,আমরা কোনওদিন ওর পড়াশোনার জন্য জোর করিনি। মাধ্যমিকের পর থেকেই ওর সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। ওর মেরুদণ্ডের সমস্যার কারণে অনেক জায়গায় চিকিৎসক দেখিয়েছি। উচ্চমাধ্যমিকের আগেও সমস্যা ছিল। তবে এর মধ্যেই পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছে। ওর সাফল্য আমরা খুব খুশি।
জয়দীপের বাড়ি বালুরঘাট শহরের উত্তরায়ণ ক্লাব সংলগ্ন এলাকায়। মাধ্যমিকে জয়দীপ ৬৬০ নম্বর পেয়েছিলেন। তবে মাধ্যমিকের পর থেকেই শারীরিক সমস্যা শুরু হয়। মেরুদণ্ড ক্রমশ বেঁকে যেতে থাকে। ফলে তিনি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতেন না। এরপর অনেক কষ্টে নানা জায়গায় চিকিৎসা করান হয়েছে।
উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষার আগেই শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গে নিয়েই পড়াশোনায় জোর দেন জয়দীপ। তিনি বাংলায় পেয়েছে ৯৫, ইংরেজিতে ৯৭, ভূগোলে ৯৮, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৭ এবং দর্শনে ৯৫ নম্বর পেয়েছেন। ওর এই রেজাল্টে খুশি বালুরঘাটের শিক্ষামহল। নিজস্ব চিত্র