একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
তবে বাসিন্দাদের বক্তব্য, সভ্যতার চাকা ঘোরে, বদলে যায় মানুষের জীবন যাত্রা। কিছুদিন আগেও যে পথ দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন ছুটত, সেই পথে এখন চলছে হাতেগোনা কিছু গাড়ি। রায়গঞ্জে নতুন জাতীয় সড়কে যান চলাচল শুরু হওয়ায় পুরনো জাতীয় সড়কে যান চলাচল অনেকটাই কমেছে। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার পথে রায়গঞ্জ শহরের শিলিগুড়ি মোড় নামটা ভীষণ পরিচিত। নতুন বাইপাস চালু হওয়ায় সেই ল্যান্ডমার্ক যেন আবছা হতে শুরু করেছে বহিরাগত চালকদের কাছে। এখন লরি, মালবাহী গাড়ি, পিক-আপ ভ্যান, ছোট গাড়িগুলি শিলিগুড়ি মোড় হয়ে যাচ্ছে না। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার জন্য আগে রায়গঞ্জের কসবা মোড়, জেলখানা মোড়, শিলিগুড়ি মোড় নামগুলি বিশেষ পরিচিত চালকদের কাছে। এখন দিক পাল্টানোর পাশাপাশি পাল্টেছে জাতীয় সড়কের নাম। ৩৪নং জাতীয় সড়ক বদলে হয়েছে ১২নং জাতীয় সড়ক। গাড়িগুলি এখন রায়গঞ্জের রূপাহার হয়ে সোজা রায়গঞ্জের বারোদুয়ারি হয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে শিলিগুড়ির দিকে।
রায়গঞ্জের বাসিন্দা বিদ্যুৎ কুমার দাস দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে অটো পার্টসের ব্যবসা করছেন। হঠাৎ তাঁর ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎবাবু বলেন, এমনিতেই ব্যবসা খুব একটা ভালো জায়গায় নেই, তারমধ্যে জাতীয় সড়কের দিক পরিবর্তন হয়েছে। এতে ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। তবে আমার ব্যবসার জন্য উন্নয়ন তো আর থেমে থাকবে না! নতুন জাতীয় সড়ককে স্বাগত জানাচ্ছি।
রায়গঞ্জের কুলিক ফরেস্ট মোড় সংলগ্ন হোটেল ব্যবসায়ী বাপী দাস ২০ বছর ধরে হোটেল করছেন। জাতীয় সড়কের ধারে হোটেল থাকায় রমরমিয়ে চলত তাঁর হোটেল। এখন ব্যবসা আগের তুলনার অর্ধেকরও কম। শহরের মানুষের উপর নির্ভর করেই ব্যবসা করতে হবে বলে তিনি জানান।
পুরনো জাতীয় সড়কের এমন শুনশান চেহারায় যদিও খুশি শহরবাসী। রায়গঞ্জ শহরের যে যানজট সমস্যা সেই সমস্যা থেকে শাপমুক্তির পাশাপাশি প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটত জাতীয় সড়কে, তা কমবে বলে ধারণা শহরবাসীর। রায়গঞ্জের বাসিন্দা আলভা মিত্র বলেন, একটা সময় লরি, পিক-আপ ভ্যান এসব চলতো। এখন অনেক কম চলছে। এরফলে দুর্ঘটনা অনেক কমবে। নিজস্ব চিত্র