একাধিক সূত্রে অর্থপ্রাপ্তি ও ঋণশোধে মানসিক ভাব মুক্তি। নিজ বুদ্ধি ও দক্ষতায় কর্মোন্নতি ও সুনাম। ... বিশদ
অঞ্জনাভ বাংলা, ইংরেজি ও ও জীববিদ্যায় ৯৫, অঙ্ক ও রসায়নে ৯৮ নম্বর পেয়েছেন। অন্যদিকে, অমৃতাভ বাংলায় ৯১, ইংরেজিতে ৯৯, জীববিদ্যায় ৯৮, অঙ্ক ও রসায়নে ৯৭ নম্বর পেয়েছেন। তুফানগঞ্জ পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নিউটাউন এলাকার বাসিন্দা যমজ ভাই ছোট থেকে মেধাবী। পড়াশোনার পাশাপাশি দু’জনেই ভালোবাসেন সাঁতার কাটতে, ক্রিকেট খেলতে। তাঁদের বাবা ধনঞ্জয় পাল চামটা দেশবন্ধু উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মা মণিকা দত্ত ছাটারামপুর জুনিয়র বেসিক স্কুলের শিক্ষিকা।
অঞ্জনাভ ২০২২ সালে মাধ্যমিকে রাজ্যে দশম স্থান অধিকার করেছিলেন, অমৃতাভর নাম ছিল মেধা তালিকার নবম স্থানে। অমৃতাভ ও অঞ্জনাভ বলেন, ঘড়ি ধরে একটানা কখনও পড়াশোনা করিনি। তবে প্রতিদিন একটা নির্দিষ্ট রুটিন মেনে পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছি, আর এতেই এসেছে সাফল্য। প্রতিটি বিষয়ের জন্য আমাদের একজন করে গৃহশিক্ষক ছিলেন। পড়াশোনার ক্ষেত্রে মা-বাবা সবসময় সহযোগিতা করেছেন। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদানও কম নয়। আগামী দিনে আমরা চিকিৎসক হতে চাই।
বাবা ধনঞ্জয় পাল বলেন, ছোট থেকে স্কুলের পরীক্ষায় ওদের নম্বরের বেশি পার্থক্য থাকত না। মাধ্যমিকের পর উচ্চ মাধ্যমিকের ফলেও তাই হল। তবে অল্পের জন্য মেধা তালিকায় ঠাঁই না পাওয়ায় আক্ষেপ রয়েছে। ছেলেদের সার্বিক ফলাফল অবশ্য আমাদের গর্বিত করেছে।
তুফানগঞ্জ নৃপেন্দ্র নারায়ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক রামকৃষ্ণ প্রামাণিক বলেন, আমরা আশাবাদী ছিলাম অঞ্জনাভ ও অমৃতাভ দু’জনেই ভালো ফল করবে। ওরা নজরকাড়া ফল করেছে। ওদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি। বাবা ও মায়ের সঙ্গে দুই ভাই। -নিজস্ব চিত্র